মায়া


সেদিন বিকালের কথা,
পার্কে বসেছিলাম আনমনা আমি,
আর ভাবতেছিলাম প্রিয়তমা চারুর কথা।


কতশত প্রেমিক প্রেমিকা রয়েছে বসে
কেউবা করছে একটু দুষ্টুমি নিয়ে প্রিয়তমাকে
কেউবা এঁকে দিচ্ছে নিখুত চুম্বন উষ্ণ ঠোটে।
কেউবা করছে জীবন গড়ার পরিকল্পনা,
সবি আমি দেখছিলাম আর ভাবছিলাম।


হঠ্যাৎ দেখি একটি ফুটফুটে বালিকা
যার এখন থাকার কথা সাথে নিয়ে
পরিবারের ভাই বোন,বাবা,মা,খালা,
অথচ সে কি করছে?
করছে বিক্রি ফুল আর মালা,
আর পাচ্ছে শুধু অবহেলা।


আরে একি?
এ দেখি সেই মেয়ে,
যে আমার চারুকে প্রতিদিন দিয়ে যেত ফুল,
আমাকে দেখেই বলে ওঠল,
আমার কিন্তু চিনতে হয়নি একটুও ভুল।
চারু আপু কই ভাইয়া,
আজ আপুর জন্য এনেছি প্রিয় সব ফুল
লাল গোলাপ,কৃষ্ণচূড়া আর বকুল।
কি হলো ভাইয়া!
চুপ কেন?
ওহ,বুজেছি আজ আপুর আসতে হয়েছে দেরি,
না, না রে বোকা মেয়ে,
তহলে নিশ্চয় আপনি আসতে করছেন দেরি
আর তাই আপু চলে গেছে বাসায়।


ওর কথা শুনে আমার  চোখে এসে গেল জল,
ওরে না তোর আপু যে আর নেই,
আমায় একা রেখে ভাসছে হয়ে মেঘ।


বললো তাহলে আপুর দেব কাকে?
বললাম চল দিবি তোর ফুল,
ওর পবিত্র কবরে।


কবরের কাছে গিয়ে ও ফেললো জল,
বললো আপু কথা বল,
ভাইয়া যে আজ বড় একা,
তোর থেকেই তো ভালোবাসা শেখা,
তবে কেন দেস না আজ আপু দেখা।


আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে পাশে
কান্না সহ্য করতে না পেরে
ওকে রেখে চলে আসি অবশেষে।


আর এখন ওর সকালের প্রথম ফুলের
নিয়মিত ক্রেতা আমার চারু,
ও নিজ হাতে দিয়ে যায় মালা,আর লাল গোলাপ
চারুর কবরের পাশে।


এটা দেখে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়
কিছুই করতে পারিনি চারুর জন্য।
ক্ষমা করে দিও চারু,ক্ষমা।


লেখক:শেখফরিদ(#ছোটমামা)