যীশুখ্রীষ্টের জন্মেরও শত বছর আগে
রাজপুত্র সিদ্ধার্থের গৃহত্যাগ বিরাগে,
নেপালের কপিলাবস্তুর রাজত্ব ছাড়ি
দিব্যজ্ঞানের উদ্দেশ্যে অজানাতে পাড়ি।


বছর বছর ধ্যানমগ্ন পাকুবৃক্ষের তলায়
মানবমুক্তির চিন্তনে দৈববাণীর লীলায়।
জগতময় বুদ্ধ ছড়ালেন দিব্যজ্ঞানের আলো
নমঃশুদ্র সনাতন হিন্দুগণ বাঁচার টিকিট পেল।


কত রাজা জ্ঞানীগুণী নোয়াইল মস্তক
দিগ্বিদিক জয়ে ফিরলো, বুদ্ধের শ্লোক-স্তবক।
শোকহীন নৃপতি অশোক ও দিল রাজত্ব সপে
দিনমন সারাক্ষণ রত শুধুই বুদ্ধ কথিকা জপে।


এরপর হাজার বছরান্তে, তবিয়তে বহাল
বুদ্ধের অহিংসার বাণী মর্যাদাবান,নির্ভেজাল।
মহাপুরুষ শিরমণি ধ্বনিত সেই গৌতমবুদ্ধের নাম
শুনি, অাজও চর্যার গান ও দিব্যজ্ঞানের সুনাম।


বার্মাতে, হল ওকালের সেই অহিংসার পরাজয়,
বুদ্ধের নথিতে হেন,ঘৃণ্য অাগ্রাসন দ্বিমুখী নিশ্চয়।
রোহিঙ্গা, হোথার সংখ্যালঘু এক জাতিগোষ্ঠীর নাম
লাখো নির্দোষের নির্মম হত্যায়,খর্বিত বুদ্ধের সম্মান।


গুলি, কোপে রোহিঙ্গা  জাতিকে জলে ভাসিয়ে দিল,
অগণন নারি পুরুষের প্রাণ, নির্বিচারে কাড়িয়া নিল।
অহিংসার চৈতন্য লালন করে,হিংসাকে করে জয়
মহামানব গৌতমবুদ্ধের আজ অপূরণ পরাজয়।


চিনা বৌদ্ধরা উইঘুরে কেন মুসলিম পুড়িয়ে মারে?
কিসের স্বর্গ লভিবে বৌদ্ধ, ন' ছোঁবে স্বর্গ দ্বারে।
তিব্বতিদের মানচিত্র শকুন অাজো ধরিয়া টানে
দালাইলামা, কেন বিতাড়িত স্বীয় স্বাধিকার সন্ধানে?


বার্মার নেত্রী অংসান সূচি, গণতন্ত্র -ই খুঁজে ফিরে
বাংলার সীমায় বিনা উস্কানিতে নাসাকা ঢুকিয়া পড়ে।
বুদ্ধরীতিতে চৌর্যবৃত্তির অপরাধ যখন সর্বাপেক্ষা ভারী,
গোপন অনুসন্ধান গভীর সাগরে,তবে চুরি না বাহাদুরি।


অহিংস ধর্মের নামে ভন্ডামী অার বিশ্ব মোড়লত্ব চান,
তক্ষশীলার মূর্তিতেই বন্দী বুদ্ধ, রিক্ত ফেরত যান।
বৌদ্ধদের বোধ জাগুক,অার জাগবেই নিশ্চয়,
নতুবা দিব্যজ্ঞানী গৌতমের -ই সুনিশ্চিত পরাজয়।


বিঃদ্রঃ  বৃথাকাব্যের একটি কাব্য।বৌদ্ধধর্মের বিরুদ্ধবাদ নয়,সাম্রতিক ধ্বংশাত্বক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে।