শত সহস্র বছরের যন্ত্রণার
ঝাঁপি খুলে যায় একেকটি দিনে,
জান্তব যন্ত্রণার হলদেটে দাঁত
কেটে বসে আহত আত্মার অস্ফুট স্তনে।
মা বলার মতোন ঠোঁট ফাঁক করার আগেই
ছিঁড়ে নেয় তা লোমশের পুরুষ্ট কালো ঠোঁট,
যমযন্ত্রণার জাহান্নামী শ্বাসে
ঠোঁটের চাতালে জমা ঘাম
ওম হয়ে উড়ে যায়।
মহাপ্রলয়ী যন্ত্রণার---
কামার হৃদপিণ্ড হতে উত্থিত
হাতুড়িপেটা স্পন্দনে,
কাঁপন ধরে যায়---
হামানদিস্তায় নিরন্তর পিষে চলা চলিতায়।
অতৃপ্তির আধবোজা ভীতা হরিণী চোখ
চেয়ে থাকে শুধু
খেঁক করে হেসে উঠা খেয়ালি সূর্যের পানে।
অস্তহীন অশ্লীল সূর্য
অন্তহীন সময় পর অস্ত যায়।
চাঁদহীনা রাতের গহীন আকাশে
গাদ্দার তারারাও যেন ঝরে পড়ে
এক এক করে।
নিরন্ধ্র নিগ্রো অন্ধকারে
কেরোসিন-প্রিয়া ন্যাকা নিগারের মতো
মরণোন্মুখ শুয়োরগন্ধী আত্মারা
আত্মাহুতি দেয়
চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম কোনো রুক্ষ দড়িতে।
লটকে যাওয়া ঘাড় না মটকানো
কই-মাছি আত্মারা ছটফট করে
জান্নাত জাহান্নামের মধ্যিখানে।
তাঁরা ঝুলে থাকে জারজের মতো
বিক্ষিপ্ত এসকল ছিটমহলে।
তাঁদের প্রশ্বাসে আসে গ্রীষ্ম
আর নাভিশ্বাসে?
কনকনে শীত।