তুমি আসবে বলে
ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে আষাঢ়ের ফুটপাথ
তুমি আসবে শুধু তাই,
আমি প্রস্তুত হয়েছি আজ , হতে লুটপাট ।
তুমি আসবে বলে আজ,
বাদলে বাদলে ভরে গেছে শ্রাবণের মাঠঘাট ,
অজলা ভরেছি জলে, হৃদয়ে করবো বলে চাষবাস ।
তুমি আসবে বলে
ভাদ্রের আকাশে মেঘে মেঘে ,শান্তির সাদা উৎপাত !
আশ্বিনের রাত ! চাঁদের আলোয় এত ফোট ফোট ,
কাশের শারিতে বাতাসের এত লাফ ঝাপ !
তুমি আসবে বলে তাই
কার্তিক এর আকাশে নক্ষত্রের খেলা এত ঝলমল ,
অগ্রাহনে কৃষকের ঘর ফসলের ডাকে হয় ঝমঝম
উৎসবে মাতোয়ারা হয় গ্রাম গ্রামান্তের বাড়িঘর ।
তুমি আসবে বলে আজ
পৌষের সকালে কুয়াশায় ডেকে যায় পথঘাট ,
তোমার জন্যই! মাঘের শীতের এত বেশি চোটপাট !
খেজুরের রসে পিঠে খাওয়া চলে খুব ধুমধাম ।
তুমি আসবে বলে
ফালগুণের রঙ, প্রকৃতিতে লেগে হাঁকে যৌবনের হাবভাব ,
চৈত্রের নিঃসঙ্গ দুপুরে ! অপেক্ষিত হৃদয় হয় ব্যাথায় খানখান ।
তুমি আসবে বলে তাই-
পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে বৈশাখী সাজসাজ
পথে পথে বৈশাখী মেলার আনন্দে লোকালয় করে হাঁকডাক
জ্যৈষ্ঠের দিনময় ফলের সমাহার হয় ঝাকঝাক ।
তুমি আসবে বলে
তোমার জন্যই অপেক্ষিত, তাই রূপ পরিবর্তিত হয় অহরহ !
হয়ে গেল তোমার জন্য চেতনায় মননে ধ্যন জ্ঞান কত শত
মিছিলে মিছিলে শ্লোগানে ধ্বনিত হল তোমার আহুত আহবান !
তুমি হে স্বাধীনতা ! বিজয়ের অমর নকশীকাঁথা আমার ,
হৃদয় নন্দিত সময়ের অপরাজেয় কাব্যের অহংকার
প্রকিতির সাঁজে, ষড়ঋতুর মহিমান্বিত বাংলার চিরায়ত অর্জন ,
স্বাধীনতা ! তুমি হে স্বাধীনতা !
কোথায় তুমি ? কোথায় !