একদিন চেয়েছিলাম, ভারী তরী বেয়ে হাতে নিতে কাঁশফুল।
একদিন চেয়েছিলিম, জীবনের প্রেমে পড়ে আত্মা পাঠাবো ঊর্ধ্বলোকে।
একদিন চেয়েছিলাম, মৃত্যু থেকে বাঁচার আকুতি হবে বেগবান
বসুন্ধরার সৌন্দর্যরূপ চোখে নিতে।
একদিন চেয়েছিলাম, কারো গালাগালি গলাগলিতে মিশে দিতে ভালোবাসার রূপে।
একদিন চেয়েছিলাম, অভাব অনটকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিত্তবান হবে সম্বলহীনের বন্ধু।
একদিন চেয়েছিলাম, রাজপথের মিছিল হবে মানবতার জয়ের স্লোগানে।
একদিন চেয়েছিলাম, ধর্ষক সমাজ বিলুপ্ত হবে নারী পাবে লাল সবুজের আঁচল।
একদিন চেয়েছিলাম, কৃষাণ-কৃষাণিরা বিন্নি ধানের খয়ের আমেজের গ্রাম হয়ে উঠুবে রূপসী বাংলার আরেক রূপ।
একদিন চেয়েছিলাম, বয়োবৃদ্ধারা শীতের চাঁদর মোড়ানো কঠিন সময়কে গড়ে তুলুক পুঁথিশালা।
একদিন চেয়েছিলাম, রাখালের বাঁশির মধুময় মায়াবী সুর শুনতে।
একদিন চেয়েছিলাম, ভাটিয়ারী গান মুখে মাঝীমাল্লার পাল তোলা তরীর চলন দেখতে।
একদিন চেয়েছিলাম, সরদার মাতাব্বরের বিচারে সমাজ থাকবে সুস্থ।
একদিন চেয়েছিলাম, জেলে পাড়া হবে মাছের সর্বোচ্চ বাজার।
একদিন চেয়েছিলাম, সংখ্যালঘু শব্দটা বাংলা অভিধান থেকে হারিয়ে যাবে।
একদিন চেয়েছিলাম, ডাক যুগে পত্রের আদান প্রদান ফিরে পাবে এ বাংলা।
স্বপনের ধারে এসব মিথ্যে আকুতি
জমতে জমতে বাস্তুহারা হলো শ্রাবস্তী কারুকার্য।
"বাংলার নিখিলে কেন আজ এমন স্বপ্ন পরিত্যাজ্য?
আমি হলাম মিথ্যে বিপ্লবী স্বপ্ন খাদক।
কেন এই সমাজে এতো মিথ্যে স্নাতক"?