আটই ফাগুন রজনী, অনেক প্রধান মধ্যযামে জমবেন  
শহিদ মিনারে রাষ্ট্রের খরচে, মিডিয়া জমাবে আসর- বিবিধ বর্ণন  
তাদের দেখে দ্যাখে ক্লান্ত হবে শিশু,বুড়ো, পোশাকি আরক্ষীজন  ।  


কৃষ্ণপক্ষে পিচপথে হাঁটে ক্ষণচর প্রধানগন নগ্নপায়ে,      
নজর নাড়ায় শতেক মিডিয়া, হাজারো আরক্ষী ধাতব হাতে ,    
বিরামহীন বিজলী জ্বলে চন্দ্রিমা ছাঁচে, জনকরে  ।  
ধীরে ধীরে বাড়বে যামিনী ঊষা পথে , কোটি মানুষের নগরে  
নিযুত  মানুষ ছুটবে শহিদ মিনারে ফুল পাতা হাতে ।  


অযুত মানুষ জলযান-ডেকে উঠে দক্ষিণের পানে    
অযুত মানুষ বাস-ছাদে ছুট দ্যায় উত্তরের পানে  
ওদের  জবানে সারাক্ষণ বাংলা এবং বাংলা-মিডিয়াহীন,    
মুখে নিম্ন ধুঁয়া আর হৃদে বাংলা এবং বাংলা  
কৃষ্ণপক্ষের রাতে ওরা দেখে নদী, ক্ষেত,বৃক্ষ –নিজচোখে      
ধল-ঢল চোখে ঘুম আনে বাংলা বাতাস  
দু’পাশে বিটপী-নাচন ধ্রুপদী  তানে, যেন পেয়েছে আপনশ্বাস ।    
উদার আকাশে তখন নিরাপত্তা দ্যায় বঙ্গপরী  
বাংলা সাজনে, শফি্ক-রফিক নক্সাতে ;
ওরা হাঁটবে প্রাচীন জমিনে দিবা-রাতি ফেরিতে  
শুধুই বাংলা বচনে, বাংলা লালনে, মননে   ।  
ওরাই বাংলাকে বাঁচাবে, বাংলা ওদের বিলাবে শস্যদানা
শফিক বরকত তরিকায় – ষোলআনা ;  


দূষিত নগরে নিরব-বিলাপ মধ্যবিত্তয় ,    
বুড়িগঙ্গায় জলকেলীতে কীটপতঙ্গ, প্রধানগণ কৌঁসুলি সেথায় ,  
আটই-ফাগুন রজনী মিশছে কালের ভেলায় ।            


ঢাকা।
০৮.১১.১৪২৬
২১.০২.২০২০