ট্রেনটি বিলম্বে ছাড়ছে, কারন অজানা যাত্রীরা বিরক্ত ; চলে ফেরিওয়ালার বেশি বিক্রি করার নিজস্ব সানাই । তবে ষ্টেশনটি ছিমছাম কমলাপুরের চেয়ে ঢের কাব্যিক – কদম জারুল ঝোপঝাড়ে বেশ সাবলীল যেন সবুজ ছিটায় যাত্রীর হৃদয়ে মনের অজান্তে ।
বৃষ্টি ভারী হচ্ছে ধীরে ধীরে, ধীরে নড়ে ট্রেন , হঠাৎ জানালায় এক কিশোরের শান্তি সম্ভাষণ সাথে সাথে হাত দেখায় প্লাটফর্মে - লাল টিন শেডে শুভ্র শাড়িতে ব্যাকুল একজন হাত নাড়ে দ্রুতপদে , মুখের মাস্কটি সরানো তবু শোনা গেল না কথাসুর - ট্রেন সুর তোলে জোড়ে ;
সহসাই নিউরনে বীণা তোলে তিন দশক আগের রমনা, কণ্ঠে মাতা হয় মাঝে সাজে গ্রামীণের সুবাদে ।
ট্রেনটি কিছুটা সামনে এগুলো পিছনে তখন তিনটি কবজি উড়ছে ; নীচে সরু সেতু-পাড় শব্দ ইমন রাগের , দুই পাশে দুটি প্রাণ মহাশূন্যে ভাসে – যেন বাঙালি বেজোস - বাতাস পূবালী ;
বাজে মুঠোফোন কিন্তু দুই প্রান্তে আদি লক-ডাওনের নীরবতা ।