যদি সোনার বাংলায়
সাত সকালে
    আকাশপারের রঙধনু
হাসিয়ে ঝরে পড়ে
      প্রজাপতির ডানায়।
অবশেষে দিন শেষে
      কি হবে গোধূলি তলায়
দিগন্ত ছেয়ে আসা সন্ধ্যাবেলায়?


সারাদিন হেঁটে বাংলার জনপদে  
   হাওর-বাওর ধান ক্ষেতের
     দ্বারে দ্বারে বুনোপথে
ছায়া বীথি বনবনানী
কৃষ্ণচূড়ার ফাঁক ফাঁকরে
ওই যে পথে
দুপুরের লালপরী উঁকি মারে।
কালো মথুরা ধানি তুলিকা
   গিরিয়া হাঁস ডানা মেলে
সিঁদূরে সাহেলি কাঠঠোকরা
মৌটুসী পাখিরা গান ধরে
শাপলা ঝিলের পারে বটতলায়
মনের সুখে কৃষাণ বাসুরি বাজায়।


নীলিমার নীলপরী বাদলদিঘী জলকেলি
অবশেষে নেমে আসে মায়ের
মায়াবী পরশ ভরা আঙিনায়।    


তেমনি নামবে সোনার রবি সন্ধ্যাবেলায়
হাসিয়া কোমল হাসি সাঁঝের মায়ায়।    
তুলে দিবে লাল-শালুক মালা  
   দিন শেষে চাঁদের গলায়।