সেজেছে আজ স্বাধীনতা জমকালো এক সাজে,
নয়া খদ্দের পাবে বলে ।


পড়নে তার লাল জামা ;
খোপায় সবুজ ফিতে ।


ঠোঁট টা জেনো কৃষ্ণচূড়া
মানিয়েছে - সূর্যরাঙা  টিপ-এ ।


দেয়ালে ঠক- ঠক
সীমান্তে প্রলাপ; নিঃশব্দ গুলি ।  
একি !  খদ্দের এলো বুঝি ?
মিত্র বেশে এসেছে সে পাড়ায় ;
স্বাধীনতাকে লুটবে বলে ।
দূরদর্শী এক শকুন বসেছে শিনায়;
বোঝেনি তা সে জন্মক্ষণে ।  


৪৬ টা বছর - কেটে গেলো বৃথায় ;
ভেবে, খদ্দের তার বিদায় নেবে
বিনা কোন সুধায় ;
খদ্দের তারে চটকানা দিয়ে বললে -
ভুললে  কি করে আমায় !
দু বেলা অন্ন, অস্ত্র দিয়ে
সঁপেছিলেম যেথায় ।


না বলে আমায় চালাবে সাবমেরিন
পিঁপড়ের কি করে পাখনা গজায় !
হতে তুমি চাও ধরা থেকে অন্তরিন  !
বাঁচিয়েছিলাম , হায়েনার ধাবায় ;
চুকাবে না সেই  ঋণ ?


বন্ধু হয়ে না হয় আরও আরেকটু যৌবন দিলে  ;
সম্ভ্রম তো আর তোর নয় রে বোকা !  
৭১ - এই তা  ১, ৬৬১ তে  কিনে নিয়েছি কিসে ?  


হা - ভাতা ঐ লুঙ্গি সৈনিক-
দু' ছটাক সেই  দেশপ্রেম নিয়ে ,
অস্ত্র ছাড়া মরতো ঠিক
বিজয় না ছায় ! করতো আমার ইয়ে ।


স্বাধীনতা তোদের বকশি বাজার ;
পদ্মার  পিলারে পিলারে ।
ভুলে গেছিস শেয়ার বাজার?
ভেসেছিলো মধ্যবিত্তের ক্রন্দনে।


আজ তোরা খেলিস হোলি -
রক্তের হোলি !
২১ অগাস্ট, ৫ ই মে , ২৫ শে ফেব্রুয়ারি।
এবং ইত্যাদি ।
হায়েনার তরে যুদ্ধ করে তবে,  হায়েনা গেলি বনি ।


অন্তঃসার এই দেহ নিয়ে আর কেন করিস বরাই ?
দে দে পেতে দে সর্ব ,
হোকনা হে স্বাধীনতা তুই নিঃশেষে খর্ব ।
পালাতে পারবি? তিন দিকের কাঁটার বেড়ায় ?


স্বাধীনতা বললে - শুন হে নির্দয় ইন্দ্র জাগায়ে ,
একদিন ঠিকই ভোর হবে ।
ভাঙবে এই মুক্ত শিকল,
ফের এই মুক্তিকামী জনতার মিছিলে ।
যে শেকলে বিদ্ধ করেছিস আমার ফেলানিকে
সেই শেকল থেকে পেরেক নিয়ে
পরাধীন এই জাতি মারবে পেরেক,
প্রবীণ এই শত্রুর কফিনে ।