সহস্র বছর আমি ঘুমিয়ে, ঘুমের দেশে।
ঘুমিয়ে, তোমার আদরের সমাধিতে।
একলা জীর্ণ কঙ্কাল দেহে
আষ্টেপৃষ্ঠে মেখেছি, তোমার ভালবাসা।
সংসারের সব মায়া মমতা, গায়ে মেখে
সহস্র বছর কাটিয়েছি, দম বন্ধ নিঃশ্বাসে।
আজ এই সহস্র বছর পর, প্রথম বর্ষা।
বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা স্পর্শ করলো বাতাস,
কানে ভেসে আসে প্রবাহিত নদীর কোলাহল ।
শুকনো ঘাসে সজীবতা, কাদা প্যাচ প্যাচ,


সহস্র বছর। মনে হলো এই সহস্র বছর পরে
আবার আমি, নতুন করে জন্ম নিলাম ।
যারা পুঁতে গেছিলো চারা গাছ, একদিন
আদরের সমাধির উপর, বট - অশ্বত্থ,
গোড়া উপরে খেয়েছে চিল - শকুন।
বিদায় সম্বোধনে হাত জোড় করে, অসহায়
প্রিয় জনদের চোখের জল, চুষে শ্মশান।
সেই জল মিশে নদীর অশূচ, শুদ্ধি করন,
এই সহস্র বছরের অবসান, বৃষ্টি পরশে
আজ ধুয়ে যাক সমাধির সব মাটি
হাড় কঙ্কাল, সব ভেসে যাক নদীর জলে।
সমাধির বুকে অবস্থিত চারা গাছ,
বেড়ে উঠুক, পঁচা হাড় মাংসের জৈব সারে।
আমিই সেখানে ঘর বাঁধবো, আবার ছোঁব বাতাস
আর এক বৃষ্টির নতুন পরশ পেয়ে ,
নতুন করে জন্ম নেব, অন্য চারা গাছে।