বসন্ত কি এসেছিলো তোর জীবনে?
শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া- স্পর্শে,
কে রঙ দিলো, তোর আতুর প্রেমে?


এখন শ্রাবণ, ঝরছে কোকিলের গন্ধে,
বাণপানিতে ভেসে ওঠে যৌবন।
তুই কি শুনতে পাস, পাতা ঝরার শব্দ?
শ্রাবণে, ভালবাসার মচ মচ আওয়াজ।
পৃথিবীটা ভিজছে চিৎকারের সাথে,
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে তোর ছটফট
অঝোতা অচেনা মুখে, বিড়বিড় - বকবক ।


আচ্ছা, মনে কর এটা শ্রাবণ নয়, বসন্ত,
কোকিলো ঠিক গাইছে চেনা সুরে।
তবুও কি তুই চেয়ে রইবি, ভেজা জানালায়
আমি তো ঠিক দাড়িয়ে, জানালার বাইরে
চিৎকার করে ডাকি দক্ষিণের মেঘেদের,
শ্রাবণের স্রোতে কুড়িয়ে বেড়াই তোর দাম্পত্য।


তুই কি শুনতে পারছিস, কোকিলের গান
নাকি, দাম্পত্য জীবনের ব্যস্ততায় ক্লান্ত।
সব ভুলে, ঘাম নিয়ে ঘুরছিস ঘড়ির কাটায়
সকালে, ছেলের স্কুল - সাইরেনে সংকেত
স্বামীর অফিস - টিফিন বাক্সে, অবসর
সংসারে, ব্যস্ত রান্নাঘর থেকে টিভি সিরিয়াল।


কেটে যায় শ্রাবণ, যাচ্ছে বসন্ত, শরৎ
শীতে ফিরে আসিস আবার, ভেজা ছাতায়
আবার গুমরে ওঠে মেঘ, আবার অঝর বৃষ্টি
আবার কেউ চিৎকার করে পৃথিবীর বুকে
তার সব শব্দই হারিয়ে, তোর সিঙ্গেল বেড রুম।