রক্তলাল গোলাপটি ছুঁড়ে ফেলে তরুণী,
প্রবল বেগে আছড়ে পড়া গোলাপটির
ক্ষণপূর্বের স্নিগ্ধ কোমল পাপড়ির দল-
এখন ক্ষত বিক্ষত।
সামনে নতশির তরুণ।
অনতিদূরেই
সহস্র গোলাপ হাতে মলিন পোশাকে
এক শিশু
অপলক চাহনিতে দেখে থেঁতলানো গোলাপটিকে।
তার বিস্মিত চোখে করুণা মেশানো আবেগ।
কুঁড়ি দিন আগে
তার পরানের বুজিও
বুঝি এমন লাল টুকটুক রঙে
রাঙায়ে পড়ে ছিলো
পথের 'পরে।
বুজিরও খুব গোলাপ প্রিয়
তবুও তারে একখান গোলাপ দিতে না পারা
বালকের ব্যথাতুর হৃদয় মুচড়ে উঠে;
তরুণীর অভিমানী মুখ কিংবা তরুণের অশ্রু দেখে নয়,
ঐ বিধ্বস্ত গোলাপ দেখে-
শখের গোলাপের চেয়ে বরং এক মুঠো ধোঁয়া ওঠা ভাত
আজ বুজির মুখে হাসি ফোটায়।
গোলাপটিকে দেখে বালক; নির্নিমেষ-
মহাকালও যেন থমকে দাঁড়ায় দুই প্রহর
সহসাই গোলাপটিকে তুলে-
ধীর পায়ে পথ ধরে সে ঘরে ফেরার
আজ না হয় অশ্রু হাসুক বুজির চোখে।