তোমার আমার সাত জনমের প্রেম।
যেখানে পবিত্রতা ও অসফলতা একসাথে বিরাজমান।।


তোমার সাথে আমার সাক্ষাৎ প্রথম জনমে।
তোমার মায়াবী মুখ আমার নজর কাড়লো।
আমি নীরবতা দিয়ে আমার প্রেমকে ব্যক্ত করলাম।
সেটা তোমার কাছে পৌঁছালো না।


ভেবেছিলাম দ্বিতীয় জনমে আমার নীরবতাকে ভেঙে দেবো।
আমি তোমাকে বলে দেবো আমার মনের কথা।
কিন্তু আশ্চর্য আমরা দুজনা কেউ মানুষ হয়ে জন্ম নিলাম না।
তুমি পাখি হয়ে আকাশে উড়ে বেড়ালে।
নিচের দিকে একবারও তাকালে না।
আর আমি কচ্ছপ হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে তোমার পিছনে দৌড়াতে লাগলাম।
আমি কোনদিন ক্লান্ত হলাম না এবং তোমাকে ধরতেও পারলাম না।


ভেবেছিলাম তৃতীয় জনমে তোমাকে ঠিক খুঁজে নেব।
কিন্তু আমি যখন জন্মালাম, দেখলাম তার আগেই তুমি বিদায় নিয়েছো।
আমার বাকি জীবন অশ্রু জলে ভাসিয়ে দিলাম।


ভেবেছিলাম যত কষ্ট হোক,
চতুর্থ জনমে সমস্ত বাধা পেরিয়ে তোমাকে বলবই।
কিন্তু পারলাম কই!
তোমার চতুর্পাশে সর্বদা পাহারাদার
ও তোমার বাবার বিশাল সম্পদের পাহাড়
আমার মত রাস্তার ছেলেকে টপকাতে দিলো কই!
আবারও ব্যর্থ হলাম।


ভাবলাম পঞ্চম জনমে তোমাকে বুঝিয়ে বলব।
কিন্তু তুমি বোঝার মত হলে কই!
তুমি যখন জন্ম নিলে আমি তখন বছর পঞ্চাশের।
ভাবলাম তুমি বড় হলে বলব।
কিন্তু তোমার বড় হওয়া আমি দেখতে পেলাম কই!


ভেবেছিলাম ষষ্ঠ জনমে তোমাকে নিশ্চয়ই বলবো।
সাহস পাইলাম কই!
তোমার মত সুন্দরী নারীর সামনে দাঁড়ানোর সাহস
আমার মত বিকৃত পুরুষের হল কই!
আমি শুধু নির্বাক চোখে তোমাকে হাসতে দেখলাম,
আর আমাকে মরতে।


এটা আমার সপ্তম জনম।
আমি যখন তোমাকে চিনলাম, তখন আমি বিবাহিত।
আমার ঘরে বউ আছে। একটা বাচ্চাও আছে।
খুব ইচ্ছা করে তোমাকে সব বলতে।
কিন্তু সমাজের কাঁটাতারে আমি আজ বাকরুদ্ধ।

আবারও আমরা জন্ম নেবো।
সেদিন হয়তো তুমি পুরুষ হবে।
আর আমি হবো নারী।
নারীর মুখে প্রেম ব্যক্ত করা বেমানান।
তাই তুমিই বলো।
আমি অপেক্ষা করবো।