|||১|||
চৈত্রের রুক্ষতার বুক চিড়ে
বেড়ে ওঠা কষ্টের পাহাড়ে
আজকাল বড়বেশি দগ্ধ হচ্ছি ।
কয়লার আগুন যেমন পোড়ে
অর্ন্তজ্বালায় ঠিক তেমনি পুড়ছি ।
।।।২।।।
ভরসাহীন দৃষ্টি,ক্ষুধাকাতর দেহ
ফাঁকা পকেটে রাস্তায় রাস্তায়
চলছে উদ্দেশ্যহীন হাঁটা ,
এ নগরীর প্রতিটি মানুষ,
রাস্তা-দেয়াল বড্ড বেশি স্বার্থন্বেশি ।
।।।৩।।।
চিৎকার করে কি হবে,
কান্না করে কি হবে ,
চোখের জলের দাম নেই ,
প্রতিটি মানুষের চোখ ,কান ,মুখ
আজ অদৃশ্য শিকলে বন্দী ।
।।।৪।।।


বেঁচে থাকতে হয় বলে কি
শুধু বেঁচে থাকা ? নাকি ,
নিজেকে যাচাই করে ,নিজেকে বাজিয়ে
শত বাঁধা ভেঙে,আলোকের পথে
আনন্দ-ঊল্লাস মজিয়ে বাঁচা ।


।।।৫।।।


চৈতন্য আর কবে হবে ,
মরলে পরে নাকি ইহকালে ।
ধর্ষিতা নারীর চিৎকার,দুঃখীদের হাহাকারেও
যাদের টনক নড়েনা ,বিবেক ঘুমায়
তাদের চৈতন্য বলে কিছু নেই ।