১.


আমি একবার  নিজেকে আবিষ্কার করি পাথরের প্রতিমূর্তি হিসেবে। রোদে পুড়ে খাক হয়ে যায় না সে পাথররুপি বিবর্ণ আমি। শীতেও কোন চিড় ধরে না গায়ে। নির্বিকার আমি শহুরে মানুষের ঘুরে বেড়ানো দেখি। সূর্যের উদয় অস্ত দেখি। দেখি ভালোবাসাহীন এই জঞ্জাল শহর। আমার খেতে হয় না। নিদ্রা তন্দ্রা নেই। কখনো প্রতিবাদে উত্তাল রাজপথ কাঁপিয়ে দেয়। ঝাঁকিয়ে দেয়। আমার যারা স্রষ্টা তাঁদের ভাস্কর বলে। আদালতের আঙিনায় ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে চেতনাধারীরা সোচ্চার হলে রাষ্ট্র পিছু হটে যায়! আহা স্বদেশ নিয়ে কি তামাশা! খেলে যায় খেলারাম!  আমি কোন খেলারাম নই! বিশুদ্ধ চিন্তারদিনে কিছু কিছু মানুষ রাজনীতির ছত্রছায়ায় খোলনলচে পাল্টে রাতারাতি শুদ্ধ হতে চায়। আমি নির্বিকার থাকি। মানুষ নির্বিকার থাকে। প্রকৃতি একরাশ দুঃখবোধ নিয়ে উগড়ে দেয়। অথচ চিন্তা নির্বিকার থাকে না।


০২/১০/২২


২.


আমি ঘুম টের পাচ্ছি! নীল কষ্টেরা নষ্ট হবার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। দালানের গায়ে শীত। ফসলের গায়ে শীত শীত অনুভূতি! এই শীতার্ত অনুভূতি নিয়ে না দাঁড়ালে দাম হাঁকে ফড়িয়া, ক্রেতা। সুখ নিদ্রায় মানুষ স্বপ্ন দেখে না। দুঃখের চাদরে মুড়ি দিয়ে মানুষ সুখ দেখতে ভালোবাসে। কোষ্ঠকাঠিন্য সুখ! হিমায়িত সুখ! ডায়াবেটিস সুখ! উচ্চরক্তচাপ সুখ! নপুংসক সুখ!
আসুন আমরাও এমন একটি সমাজ বিনির্মান করি। রাষ্ট্র বিহীন পাখিদের মতো। লতাগুল্মের মতো। সীমান্ত ঘেঁষা সুরুজের মতো। এখানে সূর্য কিনতে পাওয়া যায়। বেগুনি সূর্য। কমলা সূর্য।


০১/১০/২২