যে দীঘির জল মৌনতা খোঁজে



বৃষ্টির কান্না খুব করে মনে রাখে,
শিশিরের ছোঁয়াটুকুও আবেগে অঙ্গে মাখে,
চাঁদের মায়াবী আলো উচ্ছ্বাসে ঢাকে তরঙ্গটাকে,
তবু-
সে দীঘির জল মৌনতা খোঁজে।


বলেছে সে বাঁধনহারা,
বলেছে সে আত্মহারা,


তার জলে শুদ্ধ হয় পরিযায়ী পাখি,
যে জল ছল জানে না,
যে জল গভীর অতল,
যে জল নির্মল সন্ধ্যা হলে অহরাত্রি জেগে থাকে,
এমন মৌনতা সে কল্পলোকে আঁকে,
পরিপাটি দুঃখগুলো প্রায়শঃই আড়ালে রাখে।


নিরবতার মাত্রা নিয়ে তার কভু ক্লান্তি আসেনা,
আসেনি কোন কালে,
যেমন বাহির তার তেমনই অন্তরালে,
খু উ ব করে-
যে দীঘির জল মৌনতা খোঁজে!


নারীর কান্না সে লুকিয়ে রাখে,
বিম্বিত বিকিরণের বাঁকে বাঁকে,
মাতাল হাওয়া যার শরীরে প্রলেপ মাখে,
তবু যে জল প্রবল অটল,
জলের সজল স্নান হৃদয় অতল।


যে দীঘির জল মৌনতা খোঁজে, অবিরল।।