তোরণাচ্ছাদিত রাজপথ
মঞ্চজুড়ে প্রজাপতি রাঙা অগুনতি ফুলের সমাহার
লালগালিচায় সুশোভিত পাটাতন
তিনমুখী রাস্তার একপ্রান্তে খেঁজুর চত্বর
অন্যপাশে ঝিকিমিকি ফোয়ারা
ঠিক সম্মুখে অভিমানী দোয়েল
ও রক্তখরার নদী বিধৌত শহীদ বেদীমূল
তার পাদদেশে হাজার হাজার
গৃহশোভা নারী ও পুরুষের অবিশ্রান্ত চোখের যৌথ সম্মিলন
ঠিক পশ্চাতে থাকে দিগন্ত ছুঁই ছুঁই সারি সারি দালান
আর ট্রাংক রোডে অপেক্ষমান  একটি হলুদ বিকেল


আমি অভিমানী নই দোয়েলের মতো
শহীদ বেদীও নই ধরে থাকবো অর্ধ শতাব্দী আগের মুখর দিনগুলি মৌনতায়
আবেগাপ্লুত ফোয়ারার মতো স্বচ্ছ জলে অতিশয় কাটিনি সাঁতার
তাই-
এই মাঠ এই ময়দান এই রাজপথ এই ঝাঁঝালো মিছিল অভিন্ন সংগ্রামের সারথী হতে আমাকেও হাতছানিতে ডাকে


তাইতো মঞ্চের ঠিক বাঁপাশে কর্মীবেস্টিত হয়ে
জলপ্রদীপের আলোয় মঙ্গলদ্বীপ জ্বেলে উপস্থিত থেকে হই আগামীর সহযোদ্ধা


পাল উঁচিয়ে জনসাগরের জনজোয়ার ভেদি মঞ্চে উঠে পাঠ করেন অগ্নিমূর্তি ধারণ করা মানবানলে রচিত মানবিক কবিতা
আগত অতিথির মাঝে দৃপ্ত শৌষ্ঠবে দণ্ডায়মান সেই নাবিক কবি
যে তুমি নব যৌবনের দিশারী


অপঘাতে মৃত মানুষ
সকলে তোমার আমার সহোদর
হাসতে ভুলে যাওয়া এই আমি
নতুন প্রেরণার উৎস খুঁজি


আমি মানুষ
কবিতায় বুঁদ হই
হই জনজোয়ারে উদ্বেলিত
আবার জেগে উঠি
বারবার জেগে উঠি
স্বপ্ন দেখার অবারিত স্পৃহা ধারণ করি
চক্ষে বক্ষে লক্ষ্যে অবিচল আস্থায়


এমন আকাঙ্ক্ষা থেকে আকাশ-বাতাসে উঠেছে রনী
এককালে 'বাংলার লেবানন খ্যাত ফেনী'
এখন 'শান্তির জনপদ'
একমাত্র তোমার ঘোষণায় শুনি।


১৮/০৩/১৫
১২:৩০am