উত্থান তুমি ধীর হও বিপ্লবী বিস্বাদে
নগরীর উপকন্ঠে গড়া প্রাসাদ তোমাকে সুরক্ষা দিতে পারবে না
পৃথিবীর বুকে কোন কোন রাজা মহারাজা সে বৃথা চেষ্টাই করেছিল কাল মহাকাল
ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ কিংবা কালের কপোল তলে ঠাঁই পাওয়া লোক তুমি নও
যুগান্তর বেয়ে চলা ইতিহাস থেকে যদি শিক্ষা নিতে পারো,
তবে মুদ্রিত মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ  অবলোকন করে দেখো লাসভেগাস ভর করে আমার শহরে
অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে কন্ঠ উঁচিয়ে কেউ বলবে না একদা তিনি কালান্তর চষে বেড়িয়েছেন
তুমি প্রবাদ পুরুষ হতে চেও না, সময় তোমাকে আস্তাকূড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিতে কুন্ঠা বোধ করবে না, একটি বার
বিম্বিত বিকিরণ যদি বোঝ তবে অপেক্ষমাণ থেকো চূড়ায় আসীন হলে পতনই পরবর্তী অনিচ্ছার ফল
পতন অনিবার্য জেনেও মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী মেনেও একটুও বিস্মিত তুমি নও
তোমার জন্য আক্ষেপের দিনলিপি লিখে রাখে ভাগ্যরেখাবিদ
যাদুকরের ধূম্রজাল ভেদ করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় আসীন ভেবে তুমিও নষ্ট ভ্রষ্ট নারীতে অবাদ যৌনাচারে সুখ খুঁজে ফেরো
আর তাতেই যত অধোগত পরিণতি বরণ করে নিতে হয় পালকের ঝরে পড়ার মতো
উত্থান তুমি ধীর হও বিচরণে, বিরহ বিসর্জনে, চোখের কোণে জমাট জলকণার অনিয়ন্ত্রিত নিয়তির মহারণে


২২/০২/২০২০
১২ঃ৩৮ রাত