কবিতা মালা-ভাগ-৪

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

আমার কথা
সমাজে বহু ত্যাগী কর্মঠ আছেন যাঁরা জীবনে সামজ হিতে কার্য করার অবসর পান নাই বা সমাজের বাধার জন্য নিশ্চুপ হয়ে থাকেন, তবু বলিব- দুর্দম মন বাধা মানে না, আমার কবিতার মধ্য দিয়ে কিছু কথা জানাতে চাই সমাজ ও দেশ হিতে, সাথে আমার ভাবনার জ্ঞানে,কারণ ও উপায় তুলে ধরতে চেয়েছি, যদি কেহ ভালবেসে কিঞ্চিত গ্রহণ করেন তবে আমি পরম চরিতার্থ হব ৷
এর পূর্বে আমার কাব্য গ্রন্থ ,ভাগ-১, ভাগ-২ ও ভাগ-৩ আগে প্রকাশ পেয়েছে এখন বঙ্গাব্দ ১৪২৪ সাল (ইংরাজী ৩ মার্চ ২০১৮) আমার কাব্য গ্রন্থ কবিতা মালা ভাগ-৪ প্রকাশিত হল ।
সমস্ত প্রবুদ্ধ জনে মিনতি, ভুল-ত্রুটি নিজগুণে মাপ করে দেবেন । সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ,শুভকামনা রহিল ।
ধন্যবাদ । নিবেদক
গোপাল ছন্দ্র সরকার


ভূমিকা

আশ্চর্য্য ঘটননা
এক- >
একাধারে দেখি ঘোরতর কুপ্রথা ,
মনেতে পোষণ অন্ধাচার অযথা ।
এখন একবিংশ শতাব্দী, বিজ্ঞান -
দানিয়াছে আধুনিক, প্রখর জ্ঞান ,
এ মত সময়ে বিরোধ বিদ্যালয়ে -
খাবারে, উঁচুনীচু, জাত-পাত নিয়ে !

তারা রয় অভুক্ত মধ্যাহ্ন ভোজনে ,
সংস্কারে বাঁধা যে জাতের কারণে !
খাবার রেঁধেছে দলিত মহিলারা -
খাবে না ! সবর্ণ-উঁচুজাতের ছাত্ররা ।

গাঁয়ে-গাঁয়ে, ঘোরতর রূঢ়ীবাদী ভরা -
এখনো মধ্যপ্রদেশে প্রচুর তার সাড়া !

দুই- >
এক বৃদ্ধ নিঃস্ব ভিখারী, মারা গেলে ,
মহিলারা তার শবদেহ কাঁধে তুলে -
দাহসংস্কারে, নিয়ে চলিল শ্মশান ,
সমস্ত রকম বিধি-কর্মে, দানে মান ।

কোথা থেকে এলো, এই প্রেরণা !
শুধু হিম্মত- সাহস, তাঁদের জানা ।
পুরুষের ছিল না কোন ভূমিকা -
তাঁরা জ্বালিলো, নব জ্যোতি শিখা !!

(ইং-০১-০২-২০১৮)
১-মধ্যপ্রদেশ, জেলা,-সীহোর, গ্রাম-গোলাগাঁও ।
শাসকীয় মাধ্যমিক স্কুলে এই ঘটনাটি ঘটে ।
২- মধ্প্রদেশ, জেলা,- রাজনান্দগাঁও, গ্রাম-সড়ক চিরচারী ।
মহিলারা শবদেহ কাঁধে করে মৃতদেহ সৎকার করেন ।
খরব ন্য়ূজ পেপার > “পত্রিকা”-(ইং-০১-০২-২০১৮)

উৎসর্গ

আমার শ্রদ্ধেয় শ্বশুর মহাশয়কে আমি কবিতা মালা ভাগ-৪ উৎসর্গ করিলাম ।