নুনে পোড়া সব তরকারী
মুখেতে কী করে যে পুরি ,
ভাত খাই কী করে
আবার মেলা ঝাল উপরে !
বড্ডো ত্যেজ, গলা জ্বলে-
এ খাবার কী করে ভেতরে গেলে ,
কী রেঁধেছ আজ দুপুর কালে ?
ঘরের প্রভু, তার গিন্নীরে বলে ৷
খুন্তি হাতে রাঁধুনী কয় ,
দিনটা আজ যে ক্রিকেট ময় !
টিভিটা রাখা দূরে অন্য ঘরে-
খেলার তরে বারবার দেখি ঘুরে-ফিরে ,
ডালটা যায় উনুনে একদম পুড়ে !
তারপর কোন প্রকার রান্না তো হল-
যে করে হোক,এবার ঢোক গেলো ৷
এক রোজ না পেলে নুন-
তাতেই ভোল আমার গুণ ?
কত হাত পুড়িয়ে খুন্তি নেড়ে-
রান্না করে থালে দেই বেড়ে !
প্রভু, গিন্নীকে শুনায় শান্ত মাথায় ,
খেলায় ওদের নিত্য জয় পরাজয়-
ওরা ওটাতে, মোটা পয়সা কামায় ,
বড়ো নাম পড়ে খবরের পাতায় ৷
এ খেলা, কেন ভরিব এত মাথায় ?
ওরা মাতুক পারে যত-
একই খেলা বহুবার হয় কত !
থোড়-বড়ি-খাড়া , টিম যা মোট -
খাড়া-বড়ি-থোড় ,নিয়ে দাপট !
যারা বাঁচে ক্রিকেট জোরে-
তারাই থাক ক্রিকেট ধরে ৷
গিন্নী ঝাঁজিয়ে বলে কথা নানা ,
ক্রিকেট দেখায় কেন কর মানা-
তোমরা কী ক্রিকেট দেখ না ?
আমারও আছে জানা-
মুগ্ধ হয়ে দেখ ছেড়ে খানাপিনা ,
ক্রিকেটে মেতে রূপ ধর পাগলপানা !
শুনে রাখ, জানি যদ্দূর-
দশে, মেলা-মেশায় লাগে ভরপুর ,
ক্রিকেট আনে সমাজে কদর-
এ খেলা জানিলে, বাড়ে দাম-দর !
ঘরে ভরিলে ক্রিকেট কাল্চার ,
লোকে করে কত না সমাদর !
এমন কি আত্মীয় পাতাতে, আগে-
হামেশা ক্রিকেট কাজে লাগে !
যারা দেখে,কত না পায় ভরসা-
সময় দেয়, করে খুব উন্নতির আশা ৷
ক্রকেটে যে করে, আনমনা-
দেশে তাকে কেহ ভালবাসে না ,
উপরে ভাবে তাকে ফেলনা-
আরও ভাবে যা তা ,কত কী-না !
কর্তা বলে, এ তো চল-
তোমার ভাবনা-চিন্তা অতি সরল ,
এখন পেটে দেবার উপায় কী ?
কিছুই রাখনি বাকি ,
রান্নার করেছো বেহাল-
এবেলা কাটাই কাল, খেয়ে জল !
ওটা বাহিরের অন্যের ব্যাপার-
কাজ করিয়া হেলা সাজে না খেলা,
আগে কাজের ক্ষতি হয় মেলা ৷
রান্না কাজেও ঠিক ধর না বিচার-
রান্নাটা তো অগ্রে, বেশী দরকার ,
নিজের তরে পেটে লাগে সববার-
এ দু’য়েতে বিচার হয়না বরাবর ,
অত নিতে নেই ক্রিকেট খবর !
যদিও দেখি হাতে এখনো ধরা খুন্তি
তবুও হয়ে ওঠেনি আজ রান্নায় উন্নতি ,
ক্রিকেট যে বাধক ভাল রান্নায়-
কিছু বলাতে আবার ভাস কান্নায় !
(ইং-০৬-১১-২০১৫-শুক্রবার)