সম্মানীয় কবি এম নাজমুল হাসান , বাসস্থান নারায়ণ গঞ্জ, ফরিদপুর বাংলাদেশ । কর্ম চাকুরী, ৪ বছর ৪ মাসকাল আসরে আছেন, ৬৩২-টি কাব্য প্রকাশ করেছেন ।  যৌথ ১৭-টি কাব্য গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে । সব রকমের কাব্য মানে বহুমুখী প্রতিভায় ধনী তিনি । তাঁর রাজনৈতিক বিষয়ক কাব্য, “ভালো থাকার বাণী” নিয়ে আমার কিছু কথা , তাঁর কাব্য আলোচনা করা ।


শরুতেই কবি বড় চাতুরতায় চোখে আঙুল দিয়ে জনসাধারণকে সাবধানবাণী উল্লেখ করেছেন ,--
"বিজয় উল্লাসের পতাকা হাতে যাদের দেখছ তুমি
ওদের কাছে জিম্মি খেকেই হারাবে তোমার ভূমি"
কত অল্প কথায় ব্যাপক তার গভীর অর্থ ! মানে ওরা ছলবাজ ধূর্ত প্রবঞ্চক-ঠগ ,ওদের বিশ্বাস করা মানে নিজের দশের সর্বনাশ ডাকা । তাই সাবধান হতে বলেছেন ।
দ্বিতীয় স্তবকে বলেছেন , আরো সাংঘাতিক কথা ---
"স্বাধীন নামের নেম-প্লেটটা গলায় ঝুলিয়ে রাখো
ধ্বংসের লীলা দেখতে দেখতে নতুন স্বপ্ন আঁকো।"
জীবনের সর্বমূল্যবান সে স্বাধীনতা তার দশা পরিণতি কি মারত্মক হতে পারে  আর
ব্যক্তি স্বাধীনতা তার দিক ও দশা সুন্দর ভাবে উপমায় বলেছেন ।
দেশ যে স্বাধীন এইটুকু ভাবনা মনে পুষে এবং নিজে যে স্বাধীন এ ভাবনা শুধু জপতে থাক । সামনে ধ্বংসের লীলা দেখতে থাক আর কিছু বৃথা স্বপ্ন মনে কল্পনা করে যাও, এমনি হবে আগের জীবন ।
তৃতীয় স্তবকে বলেছেন, হে ! সাধারণ কৃষাণ, তোমাদের বিরোধ আন্দোলনে যাওয়ার অভ্যাস নাই , তাই তোমার বিল জমি-জমা অন্যরা ধূর্ত কৃষক ভেষ ধরে আন্দোলন করে সব একদিন কেড়ে নেবে । তোমাদের এ সাধুতার ফল মারাত্মক হবে !
চতুর্থ স্তবকে কবির বলা-- ঐ স্বার্থান্বেষীরা সফল হতে চলেছে কারণ তার ছলনা নকলকে তোমরা কত আদরে গ্রহণ করছ ,বুঝতেই পারছ না তার গূঢ়চাল ,নকল দিয়েই বাজিমাৎ করছে তারা ।
পঞ্চম স্তবে কবি এও বলেছেন ,তবে ঈমান বিসর্জন দিয়ে তাদের দলে মিশে ভাল থাকতে পার । রাতারাত ধনকুবের রূপে গড়ে উঠতে পার তবে সব সম্মান বোধ হারিয়ে মনুষ্যত্ববোধ খুইয়ে শোষণ নীতির পক্ষধর হয়ে, অনেক কিছু করতে পার ।
ষষ্ঠস্তবকে বলেছেন , সমস্ত সে দুরাচারীরা মিলে সিন্ডিকেট ক্ষমতায়ও যদি একবার শাসনে আসতে পারে তবে কেল্লাফতে ! তখন আর কোন পথ থাকবে না ! গরীব এমনি তারা দুঃখী , তারপর সে অত্যাচারীর অপশাসনে ঘোর দুঃখ আগে আরো ঘনাবে ।
সপ্তম স্তবকে বলেছেন ,
"ভালো থাকার মানেটা তাই সৎ থাকাটা বাদ
দুরনীতি, ঘুষ আর লুটের মাঝে মিথ্যার করে আবাদ।"
সমাজ, দেশ উপরে মনে হবে খুব তারা ভালো, ভেতরে মানবতায় খোকলা ,দেশে চলবে অরাজকতা ,দুর্নীতিতে ঘুষ ,লুট-মিথ্যা অসত্যের ফসল আবাদ হবে ।


উপসংহারে আমার বলা , কাব্য একটা দেশকে ফেরাতে পারে যদি কিনা কাব্যের সার বস্তু মানুষ বুঝতে পারেন । কবির এ ভবিষৎবাণী যাহাতে আগে না ফলে তার জন্য সাবধানবাণী ।
কত জ্ঞন-বুদ্ধির দ্বার বাস্তব কথাগুলি সরল মার্জিত ভাষায় ছন্দে দেশের প্রতিটি মানবের হৃদয়ে পৌঁছাতে চেয়েছেন ।
সামনে নির্বাচন, প্রবুদ্ধ কবির বারবার সাবধান বাণী ,গভীর অর্থে ভরা ,
সময় থাকতে সচেতনায় ফেরা উচিত সবার ।
কবিকে শুভকামনা, শুভেচ্ছা অশেষ । আগেও এমতঃ কাব্য বিচার আশাকরি