কাঁধে নিয়ে বাঁদর করিয়া আদর
বারটি মাস ঘোরে সে, শ্রাবণ ভাদর ;
বেকার ছেলেটি যায় দুয়ার -দুয়ার ,
লোকে করে না, তারে অত কদর ৷
এছাড়া তার অন্য উপায় বা কি ?
বিনা আয় যে জীবনটা ফাঁকি !
নাই, জমা-জমি, দোকান-
এখন চাকরীর বড়ো টান !
লেখা পড়া কিছু সে জানে ,
বহুতর উপদেশ ভরেছে কানে ;
সব আয়ের দ্বার, তার বন্দ-
এখন দেশের সময় বড়ো মন্দ !
তাই, এ ধারা বেছে নেয় অগত্যা-
এই ভেল্কি -বাজির আয়ের পথটা !
এক তৈলাক্ত বাঁশ পোঁতে সে মাটিতে ,
এক ছড়া পাকা কলা, বাঁধা হয় তা’তে ৷
তর্জনী উঠিয়ে গোপনে ইশারায় ,
আঙুল দেখিয়ে বাঁনরকে জানায় ;
সেই মত বাঁনর বাঁশের উপর চড়ে -
সে নেমে আসে কষ্টে কলা পেড়ে ৷
একই লেখার রাখা কাগজের চিরকুট
সেই সাথে দলা করে দু’দশ বিস্কুট ,
চিরকুটে লেখা থাকে তেলের নাম
মাখিলে সব রোগের হয় নাকি আরাম ৷
আগেই সব কায়দা, বাঁনরের রপ্ত -
সে হয় না তখন বিস্কুট ভক্ত -
দর্শক ইচ্ছায়, একটা চিরকুট উঠায় ,
আস্থা-বিশ্বাসে লোক বিমোহিত হয় !
জাগ্রত চতুর বলে, এসব ভেল্কি ?
এখানে সব ঘটে করিয়া চালাকী !
এ ব্যামোর তেল নয় আসল-
বাঁনর শুধু তার ইশারাটা করে নকল ,
এতো, ভেল্কি-বাজির খেল্-
উদ্দেশ্য মাত্র, ওর বেচাটা তেল !
“ধর, ব্যাটারে করি জব্দ,
দু’চার কষেদি, হদ্দমদ্দ ?”
কাতরে হাতজুড়ে ছেলেটি বলে ,
কেন মারিবে মোরে তোমরা সকলে ?
আমি বেকার, কাজ মেলেনি কপালে-
কোন ভাবে দিন চলে আমার হালে ৷
আসিয়াছি প্রথম তব দ্বারে-
দূর-দূর ধিক্কারো আজ মোরে !
বহুবার যে আসে তোমার ঘরে ,
অতি আদর করিয়া লহো তারে ৷
ঐ যে নেতা- তব ভাগ্যবিধাতা-
আরও নত কর, তোমরা সেথায় মাথা !
সে কী দেখায় না দেশে ভেল্কি ?
শুধু আমার তরে বল কত কী !!
(ইং-৩১-০৩-২০১৬-)