প্রচীন কালেও বনে-জঙ্গলে ছিল মধুকর ,
দলে মিলে চাক বেঁধে করিত তারা ঘর ৷
চুষে মধু মুখে রাখে, ফুটিয়ে হুল
তারা শুধু ভালবাসে সব রকম ফুল ,
সমানে, যুগযুগ ধরে যোগায় তারা মধু
জীবে দানে সুধা সম মিষ্টি ও সুস্বাদু ৷
হয়ে সঙ্ঘবদ্ধ বাসকরে সমস্ত নিকর ,
সদা দলনেত্রীর আদেশ মানে মধুকর ৷
চঞ্চল কর্মময় নিয়মে বাঁধা জীবন ,
বিপদ এলে সবে মিলে
উপর নীচে জল স্থলে
সজোরে অরিকে তারা করে আক্রমণ ৷
আর দেখি দণ্ডায়মান নিয়ে মহাপ্রাণ ,
মানব আজ কিসের নিশান ?
সেই প্রচীন আর বর্তমান, এখন
ফেরে নাই ভাগ্যাকাশে, তথাপি শুভক্ষণ ৷
বিষধর, বিষে ভরা তার দাঁত !
সাপের শুধু বিষ ঢালা, স্বভাবটা জন্মজাত ৷
মানুষের দাঁত আরো তীক্ষ্ণ
প্রাচ্যের তুলনায় এখন অতি নগ্ন !
এক তীরে বিদ্ধ করিত একটি প্রাণী
এখন বোমায় করে লক্ষ-লক্ষ জনহানী !
আগে ছিল সম্মুখ সমর, নিয়ম লড়িবার,
এখন সর্বকাজে পিঠ পিছে করে বার ৷
পূর্বে জল স্থল বন মরু আকাশ ,
নির্মল রাখিত বাতাবরণ আর বাতাস ৷
আগে মুষ্টিমেয় ছিল লুটেরা
এখন সারা সংসার ভরা ৷
দয়া মায়া করুণায় ভরা ছিল প্রাক্কাল ,
ভক্তি সততা ক্ষমা এসবের এখন আকাল !
পর সেবা জীবে দয়া , ছিল আদিধর্ম ;
এখন বাঁচার তরে পরিয়া ঘোরে বর্ম !
আগে সংসারে ছিল অটুট বন্ধন
এখন সর্ব শূন্য , সেথায় ওঠে ক্রন্দন ৷
এত যুগ পর, এ ধরায় উর্ধ্ব গতি কার -
মৌমাছি, না নর-দেবতার ?
(ইং-২৪-০৩-২০১৬-বৃহস্পতিবার)