সময়টা গভীর রাত উনবিংশতি-
মনে কতো না অজানা ভীতি !
নামটা আমার –“যা-ইচ্ছে মতি”৷
আট নভেম্বর, অতি ভোরে-
কে যেন দুয়ারে কড়া নাড়ে !
অর্গল ছিল না দরজা ’পরে –
সিধে ঢোকে আমার ঘরে ৷
ডাকে কাল !-সকাল-সকাল-
বলে,-আমার সাথে সত্বর চল!
নিয়ে ফেলায় নির্জন মাঠে-
জন শূন্য প্রাণী নেই মোটে !
আদেশ করে কঠোর স্বরে-
মনের আশা নে সব মিটিয়ে-
সারাটা দিন সময় পেয়ে-
দেখে নে সমস্ত দিন ধরে !
পুঃন নেব তোরে, অজানা ঘরে ৷
দিন ভর ক্ষুধায় কাতর-
শূন্য যে, সে সারা প্রান্তর !
বিকেলে এক জন্তু মেলে-
নাচি খুশীতে মনে-ঢেউ তুলে ৷
শুধাই ওহে দাদা,- সিধে-সাধা !
সে ফোস করে বলে জোরে -
আকাশ ফাঁটা আওয়াজ করে !
বলে এই, মহাহাঁদা !
-দেখিস না- আমিও গাধা ?
বলি, মাপ করো ভাই-
-গাধা বলিতে ভয় পাই, তাই-
-ভুল হয়েছে- ক্ষমা করো দাদা-
-তুমি যে বুদ্ধিমান ! উপরে মান আলাদা ৷
-বলি, আমার হাতে সময় কম -
দেখি যে, দিতে উত্তর -তুমিই সক্ষম ৷
-ধরো, এই জিনিসটা “ডিজিটল্”-
কী জন্তু, কী কাম, কোন বা ফল ?
সে বলে, অট্টহাসে ! সামনে দেখি !
আমার ও বাপ তুই ! আর কী ,
তবে শোন ! ধৈর্য ধর কিছুক্ষণ -
এখন ভারতের বড়ো কুক্ষণ !
এখন ভারত ইংরেজের অধীন
ফল পাবি হলে স্বাধীন ,
তখন মন দিয়ে খেটে-
দাপিয়ে বেড়াস ঠাঁটবাটে ৷
যেমন আমি খাটি, বোঝা বই-
লোক সনে, ব্যাথার কথা কী কই ?
আমি খাটি- লোকে বলে গাধা !
এরাই সব কাজ করে আবার জাদা ৷
গাধা খাটে-তাই জীডীপী বাড়ে-
আলোয় ভাসে ঘরে-ঘরে ৷
যারা চরে- সুখের তরে-
আমারে দোষে ,জীবন ভরে-
তবু আমি হই না অবাক-
যা ইচ্ছে ওরা বলে যাক !
আমি মানি আমার ধর্ম-
দেশহিতে রাত দিন করি কর্ম-
দেখিস না ? যে যতো খাটে-
লোকে বলে, ওটা গাধাই বটে !
যাক অনেক কথা হল-
এবার তোর কাল ! হয়তো এলো !
-দাদা ? শুধু উত্তরটা বলো -
ডিজিটল বুঝি না ভাল !
-এই গাধা ?ইংরেজীতে ভাল করে নে শিক্ষা-
ঐ সময় পর্যন্ত -আমায় করিস প্রতিক্ষা ৷
যখন ঐ দিনে, স্বাধীন ভারত বুকে-
নোট বন্দি রূপে জন্মিব, সবার সম্মুখে ,
সেদিন আমার হবে অগ্নি পরীক্ষা !
করিও- এই বান্দার সঠিক সমীক্ষা ৷
গ্রাম-গায়ে, শ্রমিক-কিষাণে,
শুরু করিলে শিক্ষাকরণে ;
অনাথ গরীবের হতে পারে
দুঃখ নিবারণ -
আমায় করিস তখন স্মরণ !!!.....
(ইং-২৭-১২-২০১৬)