“নোট বন্দিটা” মনে করো- এক জয়ঢাক !
তারপর দেখিতে যাও এর বাজনার ধাক !
এ আওয়াজ ! সজোরে বেজে যাক -
দূর-দূর, প্রান্তে-প্রান্তে ভরে থাক -
যতো অন্ধ, বধির, কানা, বেবাক,
শুনিয়া সবাক, তারা ও হোক অবাক !!
ওরা, খুব করে এবার- পেয়েছে ফাঁক-
যতোই বলো ,বাবা ! রাখ-রাখ-
থামিবে ওরা ? না লাগিয়ে তাক ??

প্রঃ-এ ঢাক, বাজায় কারা ?
উঃ-খুব ফুরসত পায় যারা-
প্রঃ-কেন অকারণ অসময় বাজায় ?
এতেই তো নোট বন্দিটা প্রচার পায় !
প্রঃ-কেন করে ,এসব অকাজ ?
উঃ-ভেব না, এটা আকাজ-কুকাজ ?
মেনে নেবে একদিন সমস্ত সমাজ -
এটাই তো নিয়ম বহুতরে রাজ !!
প্রঃ-কী করে সম্ভব হলো ?
উঃ-আমার তোমার ভোটে এলো ৷
প্রঃ-এতো বড়ো ! ঝামেলা মেলা ??
উঃ-হোক না কান ঝালাপালা-
এভাবে মেটাতে চায় তারা জ্বালা !

প্রঃ-এবার বাঁচার উপায় বলে দাও ?
উঃ-খুব করে তালে নেচে বেড়াও !!
পঃ-বাজনায় খরচা তো আছে ??
উঃ-ঐ গরিব ফলাবে ক্ষেতে, গাছে -
জয়ঢাকে এমন সুমধুর সুর তুলিবে-
সমূলে সব খিদে গলে যাবে -
পেতে তোমার কোলে মাছের ঝোল-
তার স্বরে বলো, জয়জয়- হরিবোল !!

প্রঃ-এতে কী ? সব সমস্যা মেটে ??
উঃ-তবে, আমার সাথে চল ! শ্বশান ঘাটে !!!.....
(ইং-২৯-১২-২০১৬)
(………,বেশী হলে ! মাপ চাই একালে !!)