আমি কেচ্ছা-কাহিনী ভালবাসি-
অভাব বড়ো- কলম ও মসী ,
যোগাড়ে পাই ছেঁড়া কাগজ-
লেখার বশে, লাগাই মগজ ৷

মশা মাছিরা কানের কাছে-
শোনায় কিচ্ছে অকথ্য যাচ্ছে !
ভন্ ভনিয়ে ধরে গান -
ঝালাপালা করে বেজায় কান-
মশা ভাগে না মম শাসায়-
এ কী ভারী আদর তো মশায় ?

কলমটা দিয়ে দেই তাড়া-
ওটা হয় হাত ছাড়া -
লেখার কম্ম শেষ -
বাঁচা গেল বেশ !
মেয়েটা আবার যত্ন করে-
পেনটা আনে হাতে ধরে ,
মেয়ে বলে বাবা, নিব ভাঙা-
আমি রাগে হই বেজায় রাঙা !
মেয়ে বলে, শান্ত হও বাবা ,
এখন ছাড় দিকিনি অত সব ভাবা ?
একটা উপায় আছে মোর মোটা-
লেখ নিয়ে আমার ডট্ পেনটা ৷
-সাতে পা ,এত তোর জানা ?
আগে যেয়ে করবি নানাখানা !
বলি ,-আমি সেকেলের প্রাণী -
কীকরে ডট্ পেনে দাগ টানি ?

আমি বন্ধ্যা জমি করি চাষ -
দু’বেলা কাটি মাঠে গরুর ঘাস ৷
যাক,এবার বাঁচা গেল -
আগেই যা লিখিছি,তাতেই হল -
ওরা বলেছে দামীহার দেবে ,
মেয়ে শুধায় বাবা,আনবে কবে ?
আমি বলি,সবুরে একটু দাঁড়া ,
তারা, তিথি মত দেবে তাড়া ৷
মেয়ে বলে, উপহারটা পেয়ে-
দাও না আমার গলায় পরিয়ে ৷
আমি বলি, তোর গলা খাট-
হারটা একটু আঁটো !
তা আবার সোনার না-
রুক্ষ শণ-পাটে বোনা !
লেখায় নাকি যুক্তি ভরা,
মালাটি, আমার গলায় পরাবে তারা !!......
(ইং-০১-০১-২০১৬)