গ্রীষ্মের দগ্ধ রাতে , যন্ত্রণা ভরা মাথে ,
কত যে হৃদে অশুভ ভাবনা !
সচল হয়ে বর্ষারানী , শীতল করিবে ধরণী ,
চিন্তায় তারি, মন আনমনা ৷
হে, অমৃতা বরষা , যোগাও অকুত ভরসা ,
ঝর-ঝর অবিরাম,অবিরত ৷
তোমারে স্মরি সখে , চাতক ডাকা-ডেকে ,
ভরাও যত দুঃখ ক্ষত ৷
ভেকেরা দেয় ধ্বনি , গায় তব আগমনী ,
পুলকিত করিতে তোমায় ;
কত রত আরাধনায় , বাঁচিতে তব দয়ায় ,
পিঠস্থানে পূজে আস্থায় ৷
দানো জীব জগতে , ভরিয়া পাতে-পাতে ,
বরষো অমৃত সমা ;
করুণা যে অপার , দানো সবারে অকাতর
যতো মেঘে, সব জমা ৷
নূপুর ধ্বনি সুরেলা , নৃত্য রিমঝিম মেলা ,
খুব খেল, মধুর খেলা !
আবাল বৃদ্ধ বনিতা , জাগতিক সজীবতা ,
আদরে চায় তোমা মেলা ।
বর্ষা ঝরা সন্ধায় , রূপ কথা শুনায় ,
কত যে ঠাকুরমা রোজ ;
শিশুরা এক মনে , ভয়ে-ভয়ে শোনে ,
রহস্য কাহিনীর পায় খোঁজ !
পেটের ক্ষুধার দানা , দিয়ে নিভাও যাতনা ,
বিনা দ্বিধায় করো পরিশোধ।
না-না-না, কক্ষনো না , মনে আন না ভাবনা ,
বিনিময়ে নিতে কভু ,প্রতিশোধ ৷
উপদেশে বলো কথা , তীব্র তব মনোব্যথা ,
"মির্মূল করিও না অটবী" !
এই টুকু আকিঞ্চণ , পোষ মনে অনুক্ষণ ,
"বাঁচাও! বাঁচাও! বাঁচাও ! পৃথিবী"!
(ইং-১৭-০৬-২০১৭)