হোক না অপার          বেগবতী ঝড় ,
          মহাঊর্মি উঠুক যতো !
ভাবনা নগন্য            উত্তেজনা শূন্য,
          মুঠোতে হাল অবিরত ।


বাঁচাতে সবার            একাগ্রতা তার ,        
          সাধনায় লক্ষ্য নিয়ত ;
সদা তার জানা          মঙ্গল কামনা ,
          দুর্য়োগে কর্তব্যে রত ।


ভয়ার্ত সন্ধ্যায়           নাহি পায় ভয় ,
          কাণ্ডারী সে তো জাগ্রত ;
একক বলেতে         বিশ্বাসে বুকেতে ,
          টানিবে দাঁড় সাধ্যমত ।


আছে তার শিক্ষা       দৈবের পরীক্ষা ,
         দানিতে আজি সে প্রস্তুত ;
নেই ভ্রূক্ষেপ,           প্রাণের আক্ষেপ !
          ভরমার আস্থা মজুত ।


সকরুণ বোল             ক্রন্দন রোল ,
         কত ভয়ার্ত কথা কানে ;
হল্লোড় চিৎকার ,        কত হাহাকার !
          শুনেও আনেনা ধ্যানে ।

শোনে অপকথা        মাঝী পায় ব্যাথা ,
          হৃদয়ে বজ্র যেন হানে –
যে বোঝে যেমন         স্বরূপে তেমন ,
          মাঝী কেবল, কর্ম মানে ।


বিপদ পেরুলে         পর ক্ষণ কালে ,
          সবে মাঝীরে করে হেলা ,
মাঝীর মহত্ব           ত্যাগের কর্তব্য ,
          কথাটা নয় জানা মেলা !


মহত ভূমিকা            সবার অদেখা ,
         কালাতীত রবে অজানা ;
বিপদে তরিতে          নিতে হবে সাথে
         নাহবে পার, মাঝী বিনা !


মাঝীর স্বভাব            তার হাবভাব ,
         বিপদের নবকুমার ,
ব্যবস্থা ভাতের          রন্ধনে কাঠের ,
         করিবে ব্যবস্থা-যোগাড় !


(ইং-১৫-১১-২০১৭)
(হিন্দী শব্দ)- ভরমার > প্রচুর