ছিল শ্বেত সামান্য, মস্তকে কেশ-
আমার দাদুর সৌম্য সাধারণ সে বেশ ৷
ছোট বেলায় দাদুর কোলে-
গল্প শুনিতাম নানান ছলে ৷
দাদু বলে, তার স্বদেশীকতার গাঁথা ,
সেই ইংরেজ জমানার কত না কথা ৷
-খোকা, শুনে যা- ভীষণ কাহিনী !
সেই সময় গড়ি এক মস্তবাহিনী ৷
হাতে নিয়ে বিশহাত লম্বা লাঠি ,
ইংরেজ রাজত্বটা করি ,একদম মাটি !
দু’হাতের মুঠোয় লাঠি যখন ঘুরাই-
সাহেব ভাগে পই-পই করে, সবাই !
সে কী এলাহী, কর্ম -কান্ড !
বড়ো-বড়ো বাহিনী করি লণ্ডভণ্ড !
অমি বিশ্বাসে শুধাতাম, দাদু ?
ছিল বেজায়, অদ্ভুত তোমার লাঠির জাদু !
-কক্ষনো কী, ধরিতে পারিত না তোমা ?
সব্বার পেয়ে যেতে ক্ষমা !
আগ্রহে দাদু বলে, শোনরে খোকা ,
-আমি কি তখন অত বোকা ?
যদিও যাই কখনো জেল-
সেথায় দেখাই আবার, ঐ লাঠির খেল্ !
উঁচু বিশহাত দেয়াল, এক ফাঁকে -
লাঠির এক মাথা ধরে এক লাফে,
সগর্বে পালিয়ে আসি ,
সাধ্য কার ! ধরে আমায়- ইংল্যাণ্ডবাসী ?
-‘দাদু লাঠিটা অতি বড়ো, বিশহাত !
এখানে লাগে বিশ্বাসে আঘাত ,
কম কী করা যায় না ?’
--‘কেন যাবে না ?
এই- পনেরো হাত ধরো, নেই মানা ৷
-বলি, আরো করো কম লাঠিখানা ?
পনেরো হাত নয় কাজে সক্ষম -
আরো ছোট হলে, গল্পটা হবে মোক্ষম ৷
দদু বলে, করে দিলাম আধা !
এবার লাঠিটা মান ,হাঁদা ?
কাতরে বলি, বকো খালি-খালি ,
দশহাত লাঠি ! মানবে না সকলি -
-ধরে-নে পাঁচ হাত লাঠি ?
গল্পটা করিস না, আগে মাটি !
আর কম করা নয় ?
এবার মান ? গুড্-বয় ৷
বড়ো হলেম-
ইতিহাস ঘেটে জানতে পেলেম ,
দাদু ভয়ে, চৌকাঠ পার হত না :
সইতে পারিত না কোন যাতনা !
(ইং-০১-০৪-২০১৬)