ধূলা স্তূপে অবহেলিত ভাঙ্গা ক৺াচ ছিল আর্শি
দাদি ওতে দেখিত মুখ যখন সে ছিল রূপসী
ষোড়শীণি আসে দাদার ঘর করতে কোন এক শুভক্ষণে
পায়ে আলতা মুখে রং তার ভরা যৌবণে ৷
চরণে মল চলণে ছিল নৃত্য ছন্দ
লাল শাড়ী ঘোমটা কোমরে রূপার কোমর বন্ধ
কচি হাত ভরা চুরি বেলয়ারি বাজিত কি মধুর
কত সোহাগভরে দাদা দাদিরে করিত আদর ৷
দাদিরে ঘিরে দাদার ভাবনা ছিল দিবস নিশি
সাজিতে আপন মনে
বলেছিল কিনে নিতে সুন্দর আর্শি
তিন ছটাক চাউলে দাদি তাই কিনেছিল দর্পণ
বেদেনির দোকানে
আপন রূপ আপনি দেখিত কত নিবিষ্ট মনে ৷
রূপে লাল বৌ
আদরে ডাকিত তারে দাদার স্বজনে
বাড়ীর আদরের বৌ
কেউ বলে নাই কোন কামে
কি জানি পরিশ্রমে
যদি তার মুখ ভেসে যায় ঘামে ৷
আজ সে বৃদ্ধা
বর্ষা ফাগুণ জাগেনা তার মনে
সাজাতে আপনারে দেখেনা মুখ দর্পণে ৷
যে দর্পণ ধরেদিত ষোড়শী রূপের কায়া
লাজনম্রু রূপগর্ব হাসি তণুভরা মায়া
হায় সে দর্পণ আজ ভাঙ্গা ক৺াচ
নাই কোন কদর
ষোড়শী হয়ে বৃদ্ধা
নাই সে স্বজন নাই সে আদর ৷