এক ফেসবুক বন্ধুর সত্য ঘটনা অবলম্বনে কাব্য টি রচিত।


সেদিন এক ফেসবুক বন্ধুর কথা শুনে,
হল ভীষণ কষ্ট, সঙ্গে রাগও এল মনে।
যার জীবনে রয়েছে  দুঃখ কষ্ট এত!
তার মুখে কি করে হাসি এল বলতো?
সে ছিল এক অষ্টাদশী বয়সী সুশ্রী কন্যা,
সদ্য স্কুলের পাঠ শেষ, সবদিকে অনন্যা।
ছিল অবুঝ নির্বোধ সকলের মুখাপেক্ষী,
বিবাহ সম্বন্ধ টা মনে জাগিয়ে ছিল এক রত্তি।
এভাবেই একদিন হল তার শ্বশুর বাড়ি গমন,
বাসর, ফুলশয্যা সবই বিধি মত অতিথি আপ্যায়ন।
লাল চেলি আর বেনারসী তে হয়েছিল সে গৃহবধূ,
তখনও কি সে জানত এসব আয়োজন ছিল মিছে শুধু।
পৃথিবী তে পুরুষ এনেছে নারীর ঔরস জ্বালা,
দিবালোকে স্ত্রী, নিশীথে করেছে বারবধুকে নিয়ে খেলা।
খেয়াল খুশিতে সন্তানের জন্ম দিয়েছে খাম খেয়ালী পিতা,
দুই সহোদর ছেলে কে পালন করছে একাকী মাতা।
ঘরে ঢুকেই আপন স্ত্রী কে চুমিল অনিচ্ছাকৃতে,
ভালোবাসা রাখিল শুধু বাহারী  প্রেমিকার সাথে।
কালের সলিলে দিন কাটে ধীরে ধীরে শুধু,
নিরুপায়, অসহায় নারীর বুকের হাহাকার করে-ধু ধু।
পিতার আদেশে যে নারী হয়েছিল অর্ধনারীশ্বর,
রমনী আজ হয়েছে মাতা, মিছে সম্পর্ক অবিনশ্বর।
বছর অতিবাহিত করেছে একই সাথে সমাজের চোখে,
কোনদিন নেয়নি স্বামী ভালোবাসায় জড়িয়ে বুকে।
এ ভাবেই কেটে যায় দিন মাস বছর থেকে থেকে,
স্বামী থেকেও না থাকা, শিশুরা বড় হয় একে একে।
অতৃপ্ত মন খুঁজে চলে বাসনা পুরনের আশা,
হঠাৎই জুটে যায় এক বন্ধুর থেকে ভালোবাসা।
এ ভাবেই ক্রমে ভাসতে থাকে গভীর সুখের ভেলায়,
সব বাধা ছিন্ন করে এক দিন চরম তৃপ্তি এল রাত্রি বেলায়।
অচেনা কোনো অনুভূতি তাকে চেনাই ভিন্ন স্বাদ,
নতুন আলোর আলিঙ্গনে ভীত, যদি হয় জীবনের অপবাদ।
সত্যি ভালোবাসা থেকে, কেন বঞ্চিত হবে তুমি? নারী!
এ জীবন যে শুধু তোমারই, কেন মিছে কর দেরি।।