ডেঙ্গুর মত মশা বাহিত রোগ
           কোলকাতায় করছে উপদ্রব,
স্ত্রী এডিস এজিপটাই ও এলবোপিকট্রাস
           এরাই ভাইরাসের বাহক।


মশা গুলো বড্ড পাজি
           দিনের আলোতে কামড়ায়,
রোগের ভাইরাস সংক্রামিত হয়
           যদি হুল ফোটায়।


লালার দ্বারা রোগটি মশা
           মানব দেহে প্রবেশ করায়,
অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে রোগ
           স্বাভাবিকতায় বিঘ্ন ঘটায়।


লক্ষন হল ডেঙ্গু রোগের
          জ্বরযে আসে ভীষণ,
করেছ যদি অবহেলা
          ঘটতে পারে মরণ।


সঙ্গে থাকে মাথা, কপাল
          চোখের পিছনে ব্যাথা,
চুলকানি, জ্বালা, কাঁপনির সাথে
          বমি হবার কথা।


দু-তিন দিন থাকলে জ্বর
          পরীক্ষা কর একবার,
রোগ নির্ণয় হলে পরে
          সবার সাবধানতা দরকার।


আইজিম, আইজিজি করতে হবে
          অ্যান্টিবডি পরীক্ষা,
অযথা আতঙ্কিত না হয়ে
           নাও উপযুক্ত শিক্ষা।


ডাক্তারের পরামর্শ মতো
          খাও ঔষধ উপযুক্ত,
সঙ্গে রেখো ওআরএস, নুনচিনি-
           ডাবের জল পর্যাপ্ত।


চাইলে তুমি খেতে পারো
          পেপে পাতার রস,
পেয়ারা পাতার যুস নাকি
          এরোগ প্রতিরোধের বস।


রক্তে অনুচক্রিকা কমে গেলে
          দিতে হবে রক্ত,
তখন কিন্তু এই রুগী
          বাঁচানো খুব শক্ত।


ঘরের যত্রতত্র, ফুলের টবে
          জমতে দিওনা জল,
জমা স্বচ্ছ জলে ডিম পাড়ে
          এডিস মশার  দল।


নিজের পরিবেশ পরিষ্কার রাখো
          সাবধান হও নিজে,
মশারি টাঙিয়ে যে ঘুমায় দিনে
          বুদ্ধিমান মানুষ সে যে ।।