শরতের সুর্নিমল আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘের ভেলা,
শিশির ভেজা শিউলি ফুলের সুবাস আর জলাশয়ে শাপলা।
তখনই বাতাসে বাজতে থাকে দেবী মা এর আগমনীর সুর,
শুভ শক্তির সূচনা হয় পিতৃপক্ষের অবসানে বধিত মহিষাসুর ।
মহালয়ার-সুপ্রভাতে জগজ্জননী মা এর আবির্ভাব মর্তলোকে,
ধরনী তখন দিকে দিকে আনন্দ সাজে সাজতে থাকে।
পূজা মণ্ডপ, মন্দির প্রাঙ্গণ গুলো রঙিন আলোয় উদ্ভাসিত,
ঢাকের কাঠি উঠল বেজে আকাশ বাতাস দিক বিদিক অনুরণিত।
শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠীতে দুর্গাপূজার সূচনা নবপত্রিকার স্থাপনে,
নতুন পোশাকে বর্ণ বৈষম্য ভুলে জমায়েত হই তোমার স্থানে।
সপ্তমী তে হাতে হাত ধরে ঘুরবে সবাই পূজার মণ্ডপে মণ্ডপে,
কেউ হাসি মুখে, কেউ দুঃখে, অভাবের বারি নিয়ে সংগোপনে।
একশত আট প্রদীপ জ্বেলে অষ্টমী তে পুষ্পাঞ্জলি সবাই মিলে,
পূজার শেষে ঘরে ফিরে লুচি মিষ্টি মুখে তুলে উপোস ভোলে।
ধুনুচি নাচে সন্ধ্যারতি দেখার আশে ভাই বোনেরা বায়না ধরে বাবার সনে,
অষ্টমী অন্তে নবমী তে অরজঃস্বলা কুমারী পুজো চলবে একই স্থানে।
মা গো তোমার সন্তানদের তারুণ্য শক্তি কর জাগ্রত,
ভীরুতা, দারিদ্রতা, দুঃখ, জরা সকলের ঘর থেকে হোক দূরীত।
দশমীতে সবার চোখের জলের সঙ্গে মা এর যে হয় বিদায় বেলা,
মা-বোনেরা দুর্গা মায়ের সাথে খেলবে সিঁদুর রাঙানো খেলা।
পাঁচ দিনের শেষে উমা মা-এর যে শশুর বাড়ি ফেরার পালা!
ঘাটের ধারে দাঁড়িয়ে সাথে আসছে বছর আবার আসবে এটাই বলা।
চিন্ময়ী মা এর মৃন্ময়ী রূপ দেখে আনন্দ ধারায় মন যে থাকে ভরে,
মা এর কাছে কামনা অন্তরে, শান্তি ধারা চলুক সারা বছর ধরে।।