"পথ শিশু" শব্দটা হৃদয় স্পর্শী
কিন্তু অন্তর্নিহিত বাস্তব টা ভয়ানক,
যাদের জীবন যুদ্ধে হারানোর কিছু নেই,
যাদের পিছুটান বলে কিছু নেই,
যাদের ছাদ দেওয়া শোবার ঘর নেই,
যাদের বাসস্থানের স্থায়ী ঠিকানা নেই,
যাদের লজ্জা নিবারণের বস্ত্র নেই,
যাদের খুধার যন্ত্রণা মেটানোর তাড়া নেই,
যাদের বেঁচে থাকায় কারো খোঁজ নেই,
যাদের ভবিষ্যৎ এর কোন মূল্য নেই,
যাদের রুগ্নতায় দেখার কেউ নেই,
যাদের শিক্ষার আলো নেই,
যাদের জৈবিক সংসারের তাগিদ নেই,
যাদের মা-বাবা থেকেও নেই,
যাদের জীবনের কোন জিঞ্জাসা নেই,
যাদের আদর সোহাগ পাবার অধিকার নেই,
যাদের জীবনের প্রতিটি পলে নেই নেই,
আছে শুধু পেট বাঁচানোর তাগিদ,
তারাই যে পথ শিশু, পথের ধারে বাস।
তারাই যে সব সমাজে লাঞ্ছিত বঞ্চিত
তাদের জন্মটাই যেন হয়েছে পরিহাস।


সমাজের দূষিত ধোঁয়ায় ছটফটিয়ে
পথ শিশুদের ঘুঁম আসে না,
চোখে নেবে আসে নোনা জল
হয়তো কেউ তাদের দিকে তাকায় না।
আকাশ যখন মেঘের ঘনঘটায় সাজে
পথ শিশুরা দাঁড়িয়ে থাকে নির্বাক প্রত্যাশায়,
কেন থাকবে তারা অশিক্ষা আর উপবাসে
এদের লজ্জা কি আমাদের লজ্জা নয়?
পথ শিশুদের নিয়ে নানান সংগঠন
আছে কত গ্রন্থ লেখন পঠন,
মানবিকতার দৃষ্টিতে মানুষের বিবেক জাগুক
নইলে এদের দুঃখ দুর্দশা দূর হবে কখন।
পথ শিশুরাও মানুষের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম
এদের চাই যথোপযুক্ত শিক্ষা প্রদান,
নইলে এই সুমহান খ্যাতি মান দেশের সঙ্গে
আমাদের বিশ্ব দরবারে ঘটবে ব্যবধান।


লোলার্ক সেই সংস্থা যারা দেখতে পায়
পথ শিশুদের ক্ষুধার্ত মলিন মুখ,
বিবেকানন্দের ভাষায় "“বহুরূপে সম্মুখে তোমার
ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর? জীবে প্রেম করে যেই জন,
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।" সেখানেই সুখ।
লোলার্ক আছে থাকবে পথ শিশুদের পাশে
অন্ন বস্ত্র শিক্ষার যথাযথ আলোক নিয়ে,
পৃথিবীতে আছে সকলের বাঁচার সমান অধিকার
তাই সমাজকে ধিক্কার দিয়ে এগিয়ে চলে সাথে নিয়ে।
লোলার্ক যে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়েছে
পথ শিশুদের মত প্রতিশ্রুতির অস্তিত্ব রক্ষায়,
এই সংগঠনের অপূর্ব ইচ্ছা গুলো দাঁড়িয়ে থাকে
সহযোগিতা,  সময় আর পরিপূর্ণতার অপেক্ষায়।।