জানিনা তুমি মনে রেখেছ কিনা,
এক সূর্যাস্তের গোধুলি বেলায়
একজোড়া কোমল হাত আমায় ছুঁয়ে বলেছিল
তুমি ভাবছ কেন? তোমায় ছেড়ে যাব কোথায়!
আমি বিস্মিত হয়ে অবাক নয়নে শুধু ভেবেছিলাম,
যে ভালোবাসে না তার জন্যে মনে সন্দেহ তো জাগবেই।
অজানা স্বপ্নের মতো চির পিপাসিত দু-হাত বাড়িয়ে দিতেই
বুকে ঝাঁপিয়ে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ছিলে,
সে যেন চিরদিনের এক অটুট বন্ধন।
তোমার সারা শরীর থরথরিয়ে কাঁপছিল,
আর হাল্কা মৃদু স্বরে ভেসে আসছিল সেই
চিরাচরিত মধুর শব্দ, ভালোবাসি - ভালোবাসি
তোমায় আমি খুব খুব ভালোবাসি।
দু চোখ বেয়ে নেবে এসেছিল শ্রাবণের বারি ধারা,
এ যেন এক অসীম তৃপ্তি আনন্দ সুখ ধারা।
তোমার সেই এক রাশ ঘন কালো মেঘের মত চুলে
সুবাসিত গন্ধে মুখ ঘষতে ঘষতে কোথায় যেন
নিমেষে হারিয়ে ফেলেছিলাম আমি নিজেকে।
সমস্ত বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ছুঁয়ে ছিলাম
তোমার কমলা লেবুর ঠোঁট যুগল।
তোমার জল টলটলে চোখে চোখ রেখে খুঁজে পেয়েছিলাম
আমার অচেনা অজানা গোটা পৃথিবীকে।
আমি তো চেয়ে ছিলাম একই সাথে দুজনে পথ চলতে,
তবে কেন সহসা বালিয়ারিতে ঝড় এসে সব উড়িয়ে নিয়ে গেল।
রাতের নির্জনতা যেন গ্রাস করল চাঁদনী জ্যোৎস্না কে,
নিমেষে কোথায় যেন তুমি হারিয়ে গেলে।
বহু খুঁজেছি তোমায় তবুও পাইনি দেখা তোমার
হয়তো তুমি ইচ্ছা করেই সামনে আসনি।
জানিনা; আজও বুঝিনি কি  ছিল মোর অপরাধ।
তোমার ইচ্ছা ছিল তোমায় যেন পত্র লিখে দিই
হয়তো সেদিন ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারিনি,
আজ তোমার বিহনে প্রতিশ্রুত লেখা হয়েছে শতশত কবিতা।
আজও তোমার জন্যে করে চলেছি অজানা প্রতীক্ষা,
কিন্তু আমার ধৈর্যের জীবনে রয়ে গেল শুধুই শূন্য আকাশ।।