(আজ, আমার ১০০তম কবিতায় সকলকে জানায় আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা আর আমার বিদ্যালয়কে রক্তিম ভালোবাসা।)


বিদ্যালয় তুমি দাঁড়িয়ে আছ গ্রামের সবুজ বনানীর মাঝে,
সড়কের ধারে বৃক্ষ তরুলতা ঘেরা হরিদ্রা বর্ণের সাজে।
তোমার এক পাশে অশ্বত্থ বটে ঘেরা কবর আস্তান, সাথে খেলার মাঠ।
শিমুল- পলাশ- করবীর সাথে হতো আমাদের সহজ পাঠ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা যারা করে শিক্ষা প্রদান,
তোমরা মোদের পূজ্য গর্ব, করি তোমাদের সম্মান।
যেদিন প্রথম এসেছিলাম বাবা মার সাথে তোমার বিদ্যা প্রাঙ্গনে,
কেঁদে ছিলাম খুব, বুঝিনি কেন এনে ছিল কিসের সন্ধানে!
কান্না থেমে ধীর লয়ে সূচনা হয়েছিল আমার বিদ্যা পঠন,
কখন যে কেমন ভাবে শিখিয়ে দিলে শেষ হলো অনুবর্তন।
যখন আমি পড়তাম এথা, ছিল একতলা টিনের চালা,
বন্ধু জানো তোমরা ? এটা হয়েছে এখন দোতলা।
শৈশবের শিক্ষা নবিশদের তুমি এক মহান আলয়,
তুমি আমাদের হারাধন চন্দ্র নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তোমার কাছেই শুরু আমাদের আগামী দিনের শিক্ষা,
পিতা মাতার সাথে হাতে খড়ি দিয়ে হয় তোমার কাছেই দিক্ষা।
আমাদের কীর্তি, যশ, খ্যাতি সবই তোমার অবদান,
দেশে বিদেশে রাখবো আমরা তোমার শিক্ষার মান।
বিদ্যালয়ের জন্য রইল অখ্যাত কবির শততম কাব্যটি,
একবার হলেও প্রাক্তনরা এসো দেখতে সুন্দর বিদ্যালয়টি।।