মুসলিম আর হিন্দু বিভেদ তো কিছু দেখিনাই,
একটি বস্তু, কেউ বলে জল, কেউ বলে পানি।
আমি সবই জানি সবই মানি,
শুধু বুঝি না কেন তাদের লড়াই হানাহানি।
আমরাই একদিন, দেশ ভেঙে দুভাগ করেছি;
হিন্দু-মুসলিম কে বিভেদ করে দুই জাতি বানিয়েছি।
আমরা একই ভাবে মায়ের শরীর থেকে জন্ম নিই,
আর বাইরে এসে আমরাই নিজেদের বিভেদ করি!
আমরা খাদ্য মুখেতুলে পাকস্থলীকে শান্তকরি,
শারীরিক জৈবিক স্বত্তায় আমরা কি বিভেদ ধরি?
তবে কেন আমরা করি লড়াই?
নিজেদের মধ্যে লড়াই, অস্তিত্বের জন্যে লড়াই!
এ যে আমাদের রাম-রহিমের জন্মের দেশ,
এখানে হিংসা মারামারি প্রান হনন বন্ধ হোক বিদ্বেষ।
বাঁচতে গেলে ধর্ম নিয়ে নয়,
কর্ম দিয়ে বিচার করা হয়।
এখানে জাতি ধর্ম বর্ণ নয়,
মানুষের মানবতার বিচার করা হয়।
আজ তো আমরা স্বাধীন, নেই পরাধীনতার গ্লানি,
তবে আবার কেন মাতৃভূমি নিয়ে করি হানাহানি।
আজও এক ভূখণ্ডকে নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই করছি,
আমরা কি ভেবেছি এরজন্যে কত তাজা প্রাণ হারিয়েছি!
কত মা হয়েছে অসহায় সন্তান হারা,
কত সন্তান পিতা হারিয়ে দিশেহারা।
এই প্রাণ হনন এর মত্ত খেলায়,
যাইবে প্রাণ দুই জাতিরই হেলায়।
তাই আমাদের জাতিভেদ বর্ণ বিভেদ ভুলে,
মানুষ কে ভালোবেসে এক হতে হবে সব দ্বন্দ্ব ফেলে।
আমরা চাই ভূখণ্ডে সকলে একইভাবে ফুলের সুগন্ধ নিক,
পথ টা যতই হোক আলাদা, কিন্তু সুনিশ্চিত 'মৃত্যু' টা এক।
এখানে মানুষ- অমানুষ থাকবে পাশাপাশি,
মনকে শুদ্ধ করে আমরা সততার জোয়ারে ভাসি।
ধর্মের গোঁড়ামি নয়, সবার ধর্মই যে সমান,
আমরা যে মায়ের সন্তান, কোনো মানুষই নয় অসমান।
ধর্ম বর্ণ জাতি নয়, শিক্ষায় হোক মানবতার জয়,
মানবতা হোক এখানে মানুষের প্রকৃত পরিচয়।
গড়তে হবে এমন দেশ, যেখানে থাকবে না কোন সনাতন ধর্ম,
আমরা যে মানব জাতি, তাই থাকবে শুধু মানব ধর্ম।
অঙ্গীকার তাই, সব জাতি প্রথা হয়ে যাক একখান,
আজ বাংলায় ঘুচে যাক সব বাধা ব্যবধান।
আমরা কি পারিনা হাতে হাত ধরে উচ্চ কন্ঠে বলতে?
আমরা মানব জাতি, আমরা চাই একই ভাবে চলতে।।