দেশে বিদেশে মানুষ তো আমরা সবাই,
কেউ ভাবে দেশের কথা, কেউ ভাবে স্বার্থের কথা।
এই স্বার্থান্বেষী মানুষদের কুকর্মের ফলে
চকিতে বিচ্ছিন্ন করে কত নবীন প্রাণ হেথা।
হয়তো এই মানুষগুলোর এটাই পেশা নয়তো নেশা,
এরা চায় না, দেখায় না কোনো দিন ভাল আলোর দিশা।
আজ যে রঙিন স্বপ্নীল সোশ্যাল  মিডিয়াতে মজে-
তরুণ তরুণী নব্য ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উন্মত্ত,
কেউ কি ভেবে দেখেছে এর সুফল-কুফল?
না; কে ভাববে, সবাই যে ব্যস্ত দুনিয়ার ব্যস্ততায় অভ্যস্ত।
উন্মত্ত পাগলের মত দিশেহারা হয়ে আমরা ছুটে চলেছি,
কিছু যেন জয়ের লক্ষ্যে আমরা অবিচল আছি।
ঘরে বসে একটা বোতামে আঙুলের ছোঁয়ায় পেতে চাই -
এই দুনিয়ার অপ্রতুল সুযোগ সুবিধা, যা ইচ্ছা তাই।
আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে-
উন্নত প্রযুক্তি বিদ্যার তালে তাল মিলিয়ে আমরাও চলেছি।  
আমরা নিজেদের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী আখ্যা দিয়ে-
বিনিময়ে নোংরামি বর্বরতা নিয়ে ঘুরছি ।
অনেক ঘটনার মাঝে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা
আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে শোনায় কান্না।
ঐ যে ভূমিতে বড় বড় অট্টালিকার মাঝে
ক্ষতবিক্ষত শায়িত একটা ছোট নিথর দেহ,
তাজা রক্তে নিমজ্জিত চারিদিকে
সমাজের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে কি যেন বলছে সেও।
সামাজিক যোগাযোগ আজ কি শুধু প্রযুক্তিতেই রক্ষিত?
বাস্তব সুখ দুঃখ হতে মানব সভ্যতা কি হচ্ছে বিরত?
এটাই কি আমাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সভ্যতা?
আমরা কি যথাযথ মূল্য পেয়েছি ইন্টারনেট এর দুনিয়ায়?
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং আজ কি মাত্রা ছাড়িয়ে যায়নি?
হয়তো সে ছিল বিষন্ন নির্বোধ নয়ত চেয়েছিল একটু বাহবায়!  
তাই তো সে সকল কে জানিয়ে ছিল
স্কুলে আর না ফেরার কথা,
পারি দিয়েছিল অজানা জীবনের কিছু টা পথ
জানতে চেয়েছিল জীবন মৃত্যুর সমতা।
হায় রে উন্নত যুগের মা বাবারা!
এতোটাই কি ব্যস্ত নিজেদের নিয়ে তোমরা?
একটু নজর একটু ভালোবাসা নিয়ে যদি দিতে তার সাথ
হয়তো বিষন্ন নির্বোধ সন্তান ও করত না এমন কাজ।
কোথায় যেন তার মনে দানা বেঁধেছিল গভীর শূন্যতা,
তাইতো এমন মরন খেলা ছিনিয়ে নিল তার আবেগী মৌনতা।
জানিনা কেন ভিন দেশে আবির্ভূত  হল
মৃত্যু সুনিশ্চিত নৃশংস ব্লু -হোয়েলের মতো খেলা,
এভাবেই হয়তো ছিনিয়ে নিয়ে যাবে,
আরও কতশত তাজা প্রাণ, এবেলা-ওবেলা।।