স্বাধীনতার মানে বুঝো
গিয়াস মোহন


নিভৃত পল্লীর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার কসম,
কসম, ঐ ষাট-ঊর্ধ্ব বীরাঙ্গনার অশ্রু মিশ্রিত রক্তের,
কসম একাত্তরের বংশী বাধক শিশুর
যার বাঁশির সুরে সুরে,
হায়েনার বুটের শব্দ পেয়েছে মুক্তি ফৌজ।
কসম নিঃসন্তান ঐ বিখারিনীর  
যে ভিক্ষায় আহার জুগিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার,
কিংবা ঐ ধর্ষিতা বোনের ,
যে পিতার সম্মুখে হারিয়েছে ইজ্জৎ।
মহব্বত নামের ঐ ফেরিওয়ালার কসম,
যার ঝুড়ির ভিতর ছিল মুক্তি-সেনার বুলেট,
ন-মাসের দেশ উদ্ধারে ঝরে পড়া ত্রিশ লক্ষ লাশের কসম,
স্বাধীন বাংলার আজকের এই স্বাধীনতা আমরা চাইনি।


আমরা চাইনি সেই স্বাধীনতা
যার সার্টিফিকেট মূল্যে রাজাকার হয় আমলা,
কামলা খেটে কঙ্কালসারে মরে মুক্তিযোদ্ধা,
কিংবা ঐ নিরুপায় বিধবা বেশ্যা
যে পেটের দায়ে দৈহিক ব্যবসা বাঁধে,
আমরা চাইনি সেই স্বাধীনতা,
যেথায় গণতন্ত্র কাঁদে স্বৈরতন্ত্রের ফাঁদে।


চাইনি সেই স্বাধীনতা ,
যা বুলেটের বলে ঘরকোনে ভোটার করে বন্ধী,
ফন্দি হাকে মিথ্যা ডাকে করে সত্যবাদী গুম,
নির্ঘুম ঐ ছেলে হারা মার নির্বাক আহাজারি,
যে স্বাধীনতা স্বাধীনতা নদীতে ভাসায় মৃত মানুষের সারি!


তাই ইতিহাসের কসম,
বঙ্গ আমার স্বাধীন হলেও
স্বাধীনতা মেলেনি আজো,
মূর্খ থেকো না বীর বাঙ্গালী
স্বাধীনতা মানে বুঝো ।