একদিন অপরিচিতা নারী  বললো,
“এই যে শুনছেন ?
আপনাকেই বলছি,
আপনার কবিতগুলো আজকাল  এতো কষ্টের জলে ভিজে থাকে কেনো?
আগেতো খুব কড়কড়ে টাটকা ছিলো কবিতাগুলো,
এখন পড়তে গেলেই বুকটা
জলে ভিজে যায় যখন তখন,
আমার খুব কষ্ট হয় জল শুঁকোতে,
আপনার যদি কবিতা লেখার সময়
খুব ভালোবাসার রোঁদ
দরকার হয় আমাকে বলবেন,
আমি আপনার জন্য ভালোবাসার রোঁদ নিয়ে অপেক্ষায় থাকবো।“


আমি ভয় পাই,
ভালোবাসার রোঁদ আমার সয় না,
আমার রোঁদ চুরি হয়ে যায় অহরহ,
আমার সব চুরি হয়ে যায়
প্রথম চুরি হয়ে  গেলো
ভালোবাসা আর সুখ,
তারপর বিশ্বাস,
তারপর একে একে
বিরহ, ক্রোধ আর প্রতিশোধ,
সম্বল ছিলো শুধু অভিমানটুকু,
তাও ছেড়ে গেলো আমাকে গোপনে,
শুধু চারিদিকে কান্না আমাকে ছুঁয়ে আছে,
ভিতরে বাহিরে শুধু কান্না আর কান্না।


আমি জানতাম না
আমি কতোটুকু কাঁদতে পারি
আসলে কোনো মানুষই জানেনা
সে কতোটুকু কাঁদতে জানে।
আমি আরো জানতাম না
যতোটুকু জল জমা থাকে মানুষের বুকে
তারচেয়ে কম ভালোবাসতে হয় ।
আমি বোধহয় ভালোবেসে
মরতে চেয়েছিলাম
তাই আমার বুকে কান্নার চেয়ে
বেশী ছিলো  ভালোবেসো ।


নারী,
তোমার বুকের টাটকা রোঁদ
তুমিই রেখে দাও,
আমার কবিতা গুলো ভিজেই থাক
আজ আমার কান্নার জলে
ডুবে মরার শখ হয়েছে ।
——————-
রশিদ হারুন
১৩/০৪/২০১৮