আমি আজ একজন বালকের কথা বলবো,
যে পুরো শহর ঘুরছে অস্থির  হয়ে
একটি সঠিক শব্দের জন্য,
শব্দটি হতে হবে চির জীবন্ত
শব্দটি হতে হবে একটি মহাকাব্য
শব্দটি হতে হবে একটি দেশের সমান।


বালিকা তাকে বলেছে
এমন শব্দ তাকে খুঁজে দিতে
যে শব্দে মাটির গন্ধ আছে,
যে শব্দে মানুষের গল্প আছে,
যে শব্দে তার স্বাধীনতার কথা আছে,
যে শব্দে তার পিতার কথা আছে,
যে শব্দে শুধু ভালোবাসার কথা আছে,
যে শব্দকে মনে হবে আপনজন।


যে বালক,
বালিকার কথা রাখেনা
তারা কখনো যুবক হয়না,
তাদের আকাশে থাকে মৃত মেঘের লাশ।


যে বালক,
বালিকার কথা রাখেনা,
তারা বিপ্লবী হতে ভয় পায়
তারা কখনো কবি হতে পারেনা।


যে বালক,
বালিকার কথা রাখেনা
তাদের বুকে থাকে প্রতারনার বসতি
তাদের চোখে কখনো চোখ থাকেনা।


বালক কবি হতে চায়,
বালক বিপ্লবী হতে চায়,
বালক জীবন্ত মেঘের বৃষ্টি চায়,
বালক বুকের মাঝে বিশ্বাস এর ঘর চায়,
বালক চোখের মাঝে চোখ চায়,
বালক যুবক হতে চায়।


বালিকার কথা রাখতে বালক
সকাল বিকাল দিনমজুর এর মতো শব্দটি খুঁজে বেড়ায়।
কবিদের কবিতা লেখা বন্ধ আছে শব্দটির জন্য
মানুষের মুষ্টিবদ্ধ স্লোগান শব্দহীন
হয়ে গেছে শব্দটির অভাবে।


বালকের কষ্ট দেখে একদিন এক কবি বললেন
“শব্দটি বন্দি করে রেখেছে রাক্ষস দের রাজা”
একুশ বছর যাবত বন্দি আছে
সমস্ত শরীরে শিকল নির্মম বন্ধন।


বালক, কথা দিয়েছে বালিকাকে
একদিন তাই রাক্ষসের রাজার সাথে যুদ্ধ করতে
বালক রাস্তায় নামলো বালিকার ভালোবাসার অস্ত্র সম্বল করে,
বালক দেখলো তার মতো অজস্র বালক
রাক্ষসের রাজার সাথে যুদ্ধ করতে  রাস্তায় নেমেছে,
নিরবে সবাই মুষ্টিবদ্ধ  হাত বুকের কাছে ধরে আছে,
তার পর বুকের মাঝের তীব্র আগুন নিয়ে ছুড়ে মারলো রাক্ষস রাজ্যে।
রাক্ষস রাজা আগুনের তীব্রতায় পুড়ে ছাই হলো,
আর শব্দটি মুক্ত হলো একুশ বছর পর।


বালক অনেক ভালোবাসায় শব্দটি
বুকে ধারন করলো,
তারপর বালিকার কাছে ফিরে আসলো
বুকের পাঁজর খুলে দেখালো একটি শব্দ


“বঙ্গবন্ধু”।


তারপর বালকটি যুবক হয়ে গেল।
-------------------------------------------
জি এম হারুন অর রশিদ
১১/০৮/২০১৭