বালকের এতো অসুখ,
শরীরের ভিতরে অসুখ,
মনের ভিতরে অসুখ,
কিছু অসুখ আছে তার  বুকের ভিতরে ঘুমিয়ে।


বালিকার কাছে তো শুধু জ্বরই  অসুখ,
শরীরের তাপই তার কাছে অসুখ।
বালকের কাছে মনের তাপ তার চেয়ে বড় অসুখ।


কত কিছুই তো অসুখ,
এই যে,
বালকের কেবলই দেরি হয়ে যায়-
এটাতো একরকম অসুখ,
ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে যায়,
বালিকার সাথে দেখা করতে দেরী হয়ে যায়,
বালিকাকে যখন দেখতে আসার কথা ছিল
অথচ দিব্বি ভুলে গেল
যখন মনে পরল তখন আসলো,
অথচ বালিকা আর বালকের অপেক্ষায় নেই,
বালিকাকে  না দেখে বালকের মন খারাপ হয়ে গেল
এই অল্পতেই বালকের মন খারাপ হয়ে যায় ।


“বালিকা”
বালকের অল্পতেই মন খারাপ হয়ে যায়
এটাতো একটা অসুখ,
বেশী মন খারাপ হলে বালক মনের ভিতরেই মরে যায়,
বালক সারাদিনের কিছুক্ষণ বাঁচে  
দিনের বাকি সময় মরে যায়,
মনের ভিতরে  বালক যহন তখন মরে যায়
স্বপ্নের ভিতর মরে যায় অহরহ
তখন তার আর কিছুই ভাল লাগেনা।


“বালিকা”,
বালকের যখন তখন কিছুই ভাল লাগেনা,
এই অসুখটা বালককে সবচেয়ে বেশী ভোগায়।
বালকের চোঁখে তখন আর  স্বপ্ন থাকেনা,
বাঁচতে ভাল লাগেনা,
ভালোবাসতে ও ভাল লাগেনা,
বিরহ ভাল লাগেনা,
অভিমান ভাল লাগেনা,
রোদ্দুর ভাল লাগেনা,
আকাশ ভাল লাগেনা,
শুধু মন খারাপ করতেই ভাল লাগে
আর কেবলই মনে হয়
বালিকার আকাশে এখন “অন্য বালকের” রোদ্দুর।


"বালিকা""
তোমার আকাশে আবার
রোদ্দুর হতে ইচ্ছে করে বালকের।


অথচ শরীর চাইলে মন চায়না,
মন চাইলে শরীর চায়না,
কি এক অজানা অসুখে ভুগছে বালক।  
বালকের এই অসুখ কে
কিছু মানুষ বলে "ডিপ্রেশন"
আর কিছু মানুষ বলে "ফ্রাস্টেশন"।
--------------------------------------------------
জি,এম, হারুন অরর রশিদ
০১/০৯/২০১৭