আমার কবিতাকে
ধর্ষন করার অধিকার কারো নেই-
ঈশ্বর- তোমার নেই।
পৃথিবী- তোমার নেই।
সূর্য- তোমার নেই।
পশুরাজ – তোমার নেই।
শাসক তুমি তো কোন ছার
আমার জন্মদাতা পিতা,জন্মদাএী মাতা,
প্রতিনিয়ত আমার হাতে ধর্ষিত আমার স্ত্রী ,
এমনকি আমার সন্তানেরও নেই।।
আমার কবিতাকে যেমনি ইচ্ছে তেমনি
ছন্দের অলংকারে সাজাবো—
খোপাতে পরাব গ্রীষ্মের দুপুরের সূর্য ,
ঠোঁটে মাখবো বিক্ষুব্দ্ব নীল সাগরের উশৃক্ষল ঢেউ,
স্তন ঢাকব হিমালয়ের সাদা তুষার দিয়ে,
কোমরে থাকবে পাহাড়ের বুক চিরে আসা
হলুদ ঝরনার চঞ্চলতা,
নাভীতে জ্বলবে ভরা জোৎস্নার আকাশ,
উরুতে রাখব বিষাক্ত গোখরার লোভনীয় শয্যা
পায়ে থাকবে প্রজাপতির নুপূরের প্রিয় ঝংকার,
নখ রাঙাব কৃষ্ণচূড়ার লাল পাপড়ি দিয়ে।।
আমি চাই আমার কবিতা নগ্ন থাকুক-
ঈশ্বর বাড়িয়ে দিবে কামনার অঙ্গ,
পৃথিবী শান্ত হবে আগ্নেগিরির লাভা নিক্ষেপ করে।
সূর্য ঘুমিয়ে থাকুক লজ্জায় লাল হয়ে পশ্চিমের আকাশে,
পশুরাজ তৃপ্তি পাবে রানীর মিলনে
শাসক ধ্বংস হবে প্রতিশোধের আগুনে
পিতা শান্ত হবে মাতাতে
স্ত্রী ঝাপটে ধরবে আমাকে রতি ক্রিয়ায়,
সন্তান শান্ত হবে তার জননীর স্তনে।।
আমি চাই আমার কবিতা –
ছন্দ দিয়ে ঢেকে রাখুক সূর্যের আলো
অশান্ত ময়ূরের পাখাতে ভর করে
নাচুক আমার নগ্ন কবিতা
অক্টোপাসের মত গিলে খাক পঙ্কিল সমাজ,
জোনাকীর কাঁধে ভর করে বাতাসে ভালবাসার কথা বলুক।।
আমার কবিতাকে ধর্ষন করার অধিকার শুধু আমার-
যখন খুশি তখন হৃদয় দিয়ে নগ্ন করব
যেখানে ইচ্ছে সেখানে ক্ষতবিক্ষত করব
কমনার চুড়ান্ত মুহূর্তে
কাগজের শয্যায় কলম দিয়ে ধর্ষণ করব ।।