পুরো শহর ঘুরছি,
নিঃশব্দ অভিমানের অস্ত্র বুকে নিয়ে,
আমি এক মন খারাপ করা আততায়ী,
সুযোগ পেলেই অভিমানের ধারালো অস্ত্র
ঠিক তোমার বুক বরাবর গেঁথে দিব।
মনোলীনা,
তুমি খুন হয়ে যাবে
অভিমানের ধারালো অস্ত্রে।
পুরো শহরের মানুষ আতংকে আছে
খুনটা কি হয়ে যাবে অবশেষে,
শহরের সমস্ত সাংবাদিকরা ঘুর ঘুর করছে
,
কে কার আগে এই খুনের ব্রেকিং নিউজ দেখাবে,
পুলিশ তোমাকে ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তার বেষ্টনিতে,
বিপ্লবীর মত অনেকদিন
অমাবস্যার অন্ধকারে লুকিয়ে ছিলাম
অভিমানের অস্ত্র বুকে লুকিয়ে,
দুখ বিলাসী কবিদের মত,
ঝরের দিনে বৃষ্টির ফোঁটাকে
“ আমার জন্য তোমার কষ্ট” ভেবে
আমি নিজেই কেঁদেছি।
তবুও বুকের অভিমান কমলো না।
মনোলীনা,
আমার বুকের এই অভিমানের ভয়ংকর অস্ত্র
তোমার সমস্ত নিরাপত্তার বেষ্টনি তছনছ করে দিবে,
তারপর, একদিন শহরের মানুষ ঠিকই জানবে,
সাংবাদিকরা পত্রিকায় হেড লাইনে লিখবে,
‘মনোলীনারা নিজের অজান্তে
একদিন ঠিকই খুন হয়ে যায়,
অভিমানী যুবকের অভিমানের ধারালো অস্ত্রে”।।
--------------------------------------------------
জি,এম, হারুন অর রশিদ
২৩/০২/২০১৭