একজীবনের চরম ক্লান্তি নিয়ে
অবিরাম লিখে চলছি মৃত কিছু কবিতা।
প্রতিবারই তাদের মাটিতে চাপা দেই
আমার বুকের ভিতরে না দেখা দীর্ঘ ভয়ের বোবা মিছিলে মিছিলে
পৃথিবীর তাবৎ কবরস্থানে।
শধুমাত্র ক্ষমাহীন তীব্র ঘৃনায় আর সলজ্জ করুনার কারনে
মৃত কবিতার শোকসভায় কালো পোষাক পড়ে
কখনো কোনো কবির লেখা জ্যান্ত কবিতা আসেনা।
মৃত কবিতার শোকসভায় বিষণ্ণতার কফিন বয়ে নেয় প্রতিবার
আমারই মতো জ্যান্ত মানুষের অভিনয় করা
পৃথিবীর সকল মৃত কবি, লেখক আর বুদ্ধিজীবিগণ।
কোটি কোটি চোখ নিয়ে তাদের পাহারায় থাকে
বেওয়ারিশ পুঁজিবাদ,
শিকলে আটকানো মুক্ত ‌অর্থনীতি, বেহায়া বিশ্বব্যাংক,
মেরুদন্ডহীন এক জাতিসংঘ,
মুখ শেলাই করা পৃথিবীর সকল রাজনীতিবিদগণ,
‌অবিকল রোবটের মতো দেখতে কিছু সুখী পুলিশ।
কফিনের আশেপাশে সারাক্ষণই উড়ে ধারালো নখ-ঠোঁটের অসংখ্য সাদা শকুন।
শুধমাত্র একবার বেঁচে থাকার এক তীব্র আকুতিতে
একটি জ্যান্ত কবিতার আশায় খুবই গোপনে উঁকি দেই
পৃথিবীর সমস্ত আদিবাসী যোদ্ধাদের গোপন গুহায়,
পাহাড়ে জঙ্গলে লুকানো প্রাচীন স্বশস্ত্র বিপ্লবীদের বুকে বুকে ,
ঝর্নায়, ‌অথবা নদীর স্বচ্ছ জলে সাঁতারোনো মাছের নীল চোখে,
আর সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকা পৃথিবীর শেষ জীবন্ত কবির ভিক্ষার থলেতে।
পৃথিবীর শেষ জ্যান্ত কবিতাটি লেখার পর কবি বলেছিলেন
“আমার এই জ্যান্ত কবিতাটি মুলত একটি ‌অদৃশ্য স্বশস্ত্র অভ্যুত্থান”
তাইতো পৃথিবীর শেষ জ্যান্ত কবিতাটি ইন্টারপোলের গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে
লুকিয়ে আছে কারো না কারো বুকে,
-হোক সে মানুষ ‌অথবা একটি মাছ।
————————
র শি দ  হা রু ন
৩০/০১/২০২১