------------------------------
বালিকা বিশাল আকাশের কতোটুকু আর দেখে
চোখের  মাপের আকাশ খুব বড় হয় না,
অথচ বালিকা মনের আকাশ  মাপতে শিখেনি এখনো
বালিকা জানেনা, বালিক বুঝেনা
চোখের আকাশ কখনো আপন হয় না।


বালিকা তার নিজের দেখা আকাশকে
মনে করে তার একান্ত নিজের,
অথচ একই আকাশ “অনেক’ বালিকাকে দেখা দেয়
বালিকারা কি পরিমান ভুল বিশ্বাস নিয়ে
ভালোবেসে যায় একই আকাশকে নিজের মনে করে।


চাঁদ বালকদের বিরহী করে
একই চাঁদ কতো বালককে অভিমানী করে
চাঁদ নিজেই কখনো জানতে পারে না।


বালিকা বালক বুককে দেখে
মনে মনে বালকের সাথে কথা বলে
“তোমার বুকটা আমার আকাশ
আমি তোমার বুকের পূর্ণিমার চাঁদ”
বালিকা জানেনা ঐ বালক বুককে
হয়তো অন্য বালিকা ও তার আকাশ ভেবে বসে আছে।
বালক হয়তো বালিকার চোখ দেখে ভাবে
এইতো তার পূর্ণিমার চাঁদ।


“বালিকা সময় থাকতে,
তুমি তোমার আকাশকে ছুয়ে দিও,
বালক তুমিও তোমার চাঁদ এর আলোতে
একবার ডুব দিও”


তা না হলে একদিন
বালিকা তুমি অনিচ্ছায় অন্য কোন বালক বুকে
পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে গোপন কষ্টে জ্বলজ্বল করবে,
অথবা, অমাবস্যার চাঁদ হয়ে
ঝুলে যাবে সারাজীবন।
----------------
রশিদ হারুন
১৬/১১/১