---------------------------------------------
আচ্ছা, বয়স তার কতো হবে
বড় জোর  বারো অথবা তেরো,
বালকটি নতুন পাড়ায় ভাড়া বাসায় উঠেছে,
বন্ধু বলতে কেউ নেই,
সময় আর কাটেনা।


সারাদিন সুযোগ পেলেই ছাদে ঘুড়ি উড়ায়,
ঘুড়ি সুতো  কেটে গেলে,
একদিন চমকে উঠে হাসির শব্দে।
পাশের বাসার ছাঁদ থেকে  তারই
বয়সী একজন বালিকা হেসে উঠে,
সে কি হাসি, হাসতে হাসতে গড়িয়ে পরছে।


বালিকার বুকটা আকাশ হয়ে গেল,
ঘুড়িটা হয়ে গেল খোলা চিঠি,
সাদা চিঠি, যা খুশি লিখে নেয়ার চিঠি,
কাটা ঘুড়ির জন্য বালকের মন
বালিকার আকাশে উড়ে।


তারপর থেকে বালক প্রতিদিন ছাঁদে গিয়ে
ঘুড়ি উড়ায় আর নিজেই কেটে দেয়,
বালিকার আর দেখা দেয়না,
বালিকার হাসির শব্দ ঘূড়ির সাথে আকাশে হারায়।


বালক প্রতিদিন একটি হাসির শব্দের জন্য
মন খারাপ করে নেমে আসে,
ছাঁদ থেকে নেমে আসে,
বালিকার আকাশ থেকে নেমে আসে ।


বালিকা বুঝলো না,
বালক ঘুড়ির উড়ানোর ছলে
বালক তার মনটা কে আকাশে উড়ায়,
তারপর কেটে দেয় তার বালক মন।


সুতো কাটে,মন কাটে
ঘুড়ি উড়ে, মন উড়ে
ঘুড়ি হারায়, মন হারায়
বিশ্বাস হারায়, বালক হারায়।


আকাশে ভাসতে ভাসতে মন
কোথায় গিয়ে যে পরে
বালকরা জানে না।


বালক মন উড়তে উড়তে কোথায় গিয়ে পরে
বালক বয়স কখনোই জানেনা,
আর কখনি যদি জেনে যায়
সেই সময়েই বালকটি কিশোর হয়ে যায়,
আর বুঝে যায় একটি প্রাচীন
অথচ একেবারে নতুন আবিষ্কার,
" বালক, বালিকাটির প্রেমে পরেছিলো"।
---------------------------------------------------------
জি এম হারুন অর রশিদ
১৬/০৮/২০১৭