নন্দনী তোমাকে আগুনে ঝাপ দিতে বলছি না
আমার জগতটা গোছাতেও হবে না
কারন! উড়ে যাওয়া শিমুল তুলো ধরাটা
এখন আর সাজে না
হোচট খেয়ে পড়ে গেলে হয়ত
ভাল মানুষ সেজে বড়জোড় রাস্তাটা পার হতে পারি
তাই বলে ভেব না চাঁদ দেখার ছলে
তোমাকে নিয়ে আবেগি সুরে দু’স্তবক কবিতা লিখে রাখব।
তোমার পুতুলের বিয়েটা হয়ে গেলে,
না হয় আমার কথাটা একটু ভেব;
না, তুমি যেটা ভাবছ সেটা একদম হবার নয়!
কারণ, পিয়াজ কুটার ছলে
যে জল তোমার চোখ থেকে মাটিতেে গড়িয়ে পড়ে
তাকে কি কখনো দেখছ সাগর সৃষ্টি করতে?
এই তো! নিশ্চয় নড়েচড়ে বসে সাত-পাঁচ ভাবছ?
আহা! আমি তো এত কিছু করতে বলেনি!
ললনা, তুমি চাইলেই ছলনাকে তোমার মনের আকাশে
রঙিন ঘুড়ি মত উড়াতে পার।
কারণ, তোমার মনে লেগে থাকা আহ্লাদের সুতাটা তো মস্ত বড়!
আহা! তোমার মনের জানালাটা তো খুলতে বলেনি!
কারণ, প্রেম মানেই তো নিপাতনে সিদ্ধ দুগাছা নিয়মের ন্যায়
রংচং লাগিয়ে কাল জিনিসটি ধবল করা নয় কি?
নয়ত নিজের ব্যর্থতায় গুরুজনের অনুকরণ!
আমি তো সে দলের কেউ না।
ভ্রু কুঁচকে লাভ নেই
আমি তো আর নিজেকে জাহির করতে আসেনি,
যে তোমার মনের ধারালো রুক্ষতাকে বের করবে!
তবে কি জান? কঠিন করে বলতেই হয়,
কেন নিজেকে সস্তা পন্যের ন্যায়
দর কষাকষি করার চেষ্টা করছ?
হ্যাঁ, তোমাকেই বলেছি বালিকা।
কেন আমার প্রতি হিংস্র নেত্রে চাইছ?
তোমার মনের আঁধার পিঠ টাকে
একটু উল্টে দেখ না কি আছে সেখানে?
তবে আমার মনের কথাটা বলে লাভ কি?
থাকনা, না বলা কথাটি
তোমার মনের উল্টো পিঠের মত গুপ্ত।