এবরের শীতে তোমার উপহার।
একটি রঙ্গিন সোয়েটার।
যাহার বর্ন ,
জবা না রক্ত!
বলা অতিশয় শক্ত।


আজ আসিবে নন্দনে।
আমারে বাঁধিবে বন্ধনে।
তব একান্ত আবদার,
তোমার দেওয়া সোয়েটার।
আসতে হবে পরে।
নয়ত চিমটি সজরে।
তাই পরেছি তোমার উপহার।
যাহার বর্ন,
জবা না রক্ত!
বলা অতিশয় শক্ত।
তোমার নরম হাতের বুনন।
তোমারি মতন কোমল,
নরম তোমারি মতন।
শীতল বরো রসিক।
যেন মোর আসিক।
জরিয়ে ধরে মোরে।
আবৃত ভেদ করে।
সোয়েটারটা পরে,
আমেজ আছে,আছে সৌরভ।
আছে প্রেম ঐশ্বর্যের অনুভব।
জানিনা,
সোয়েটারটা পরে কেমন লাগছে।
আসেপাসে বহুজনেইত দেখছে।
তবে কি দেখছে!
আমাকে, না সোয়েটার।
এটাইত সমবায়,
একটু ভালো লাগার।
তোমার সামনে গেলে।
হয়ত বলবে ফেলে,
"ফাটাফাটি দারুণ।
তোমায় লাগছে ভালো।
কেমন বুনেছি বলো।"
তোমার মন রেখে,
আমায় বলতে হবে।
তোমার হাতের কাজের,
তুলনা নেই।
তোমায় ভালোবাসি
এর জন্যেই।
তবে বর্নটা,
জবা না রক্ত!
বলা অতিশয় শক্ত।
অনেকক্ষন বাসের জন্য দারিয়ে।
লড়িগুলো যাচ্ছে চলে,
একরাস ধূলো উড়িয়ে।
একটা পাগল,
ক্ষ্যাপামি করে যাচ্ছে।
একটা সিগারেট,
টানতে ইচ্ছে করছে।
সিগারেট রাখি ঠঁটে।
লাইটার কোথায় গেলো,
হাতরাই পকেটে।
ঠিক তখনি শোরগোল,
গেলো গেলো ধর ধর---,
পালালো লড়িয়ালা।
দেখি সামনে জটলা।
ভির ঠেলে এগিয়ে দেখি,
আরে একি!
এতো সেই পাগলা।
রক্তাক্ত আছে পরে।
আঘাত লেগেছে পাঁজরে।
থেতলে গেছে বুক।
রক্তে ভরা মুখ।
নীরব রক্ত পথের পাথরে,
রোদে চকচক করে।
আমি তাকিয়ে থাকি রক্তের পানে।
যাহার রং ,আমার
সোয়েটারের মত লাল।


======০===========