নিশিত রাতের
     তারারা সবে,
        মিটি মিটি করি চায়।
ঝুম ঝুম,
     নূপুরের ধ্বনী তুলে।
          কুলবধূ
           পুত্র ফেলে,
             একাকি কোথা যায়।
     সজাগদৃষ্টি
        অভিকপ্রাণ
          অমোর্ঘ যৌবনা অদীন।
আকাশে
     বাতাসে,
        কামোনার ঘ্রান,
          চলার ছন্দ উদাসিন।
জোৎস্না
     চলার পথে,
        ছড়িয়ে দিয়েছে আলো।
সখি সম
     পাহারারত,
        ক্ষুদ্র জোনাকি গুলো।
পেঁচক বৃক্ষডালে,
     কৌতুহলি
        নিঃস্পলক চোখ।
ক্ষুধার্ত শৃগালের,
     পিপাষু জিহ্বা,
        যেন রক্তমুখি যোক।
পুস্করিণীর পারে,
      সর্প ঘোরেফেরে,
        ফিরেও চায়না তারা।
শান্তচিত্ত
     সুধাকর,
        তরল স্বর্নধারা।
অশরীরী আত্মা,
     আসেপাসে ঘোরে।
ইন্দ্রিয় সারা,
     কামনাভরা,
        সর্পমুদ্রা ধরে।
বাঁশপাতার,
     শনশন ধ্বনী।
হাওয়া বলে,
     জানি আমি জানি।
কুলবধূ যায়,
     অভিসার লাগি।
কুলষিত করিবে তনু,
     কামাতুর ভোগি।
কুলবধু,
     চলেশুধু,
        ভাবিবার নাহি অবসর।
দেহ সর্মপনে,
     কামক্ষেত্র রণে,
        উঠিবে নগ্নঝড়।
রুধিতে পারেনা
     বধূমন,
        কামনার তির।
ক্ষতবিক্ষত
     যৌবন,
        হয়েছে অস্থির।
সর্বআঙ্গে
     কামনার,
        অসয্য জ্বালা।
সংকচন,
     প্রসারন,
        খেলে আদীম খেলা।
কুলবধূর,
     উস্ঠ স্তনে,
        চুম্বনে চুম্বনে,
         মত্ত কৃড়াকাম।
আখিঁ মুদিয়া,
     সুখ সহন করে।
        কেশগুচ্ছ আকড়ে ধরে,
         কম অভিধান।
সুখের লাগি সুখ,
     তপ্ত কাঞ্চণ,
        উন্মাদ রুপ,
         রচনা মন্থনরতি।
অমৃতের জাগরণ,
     অন্তিম শিহরন,
        দহন পায় নিস্কিতি।
ক্লান্ত আকাশ,
     ক্লান্ত বাতাস,
        শান্ত কূলবধু।
অশ্লীলতায়,
     ভিজে আছে স্তন।
        কমুক অঙ্গের,
         নাহি আবেদন,
          নীড়বে অশ্রুঝড়ে শুধু।
শান্ত ক্লান্ত,
     কুলবধূ,
ধীরে ধীরে
ক্লান্তি ঝেরে,
     বসন জরায় অঙ্গে।
ফিরিবার বেলা,
     নয়সে একলা।
        কলঙ্ক চলেছে সঙ্গে।


=======0=========